বিজ্ঞাপন
গত এক মাস ধরে বেইজিং-টোকিও সম্পর্ক প্রমাগত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির তাইওয়ান নিয়ে সাম্প্রতিক মন্তব্যের পর দুই দেশের সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি ঘটেছে।
তাকাইচি সম্প্রতি পার্লামেন্টে এক বক্তব্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাইওয়ানের ওপর চীনের সামরিক আক্রমণের ক্ষেত্রে জাপানও ‘সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ’ করতে পারে। তার মতে, তাইওয়ানের ওপর বল প্রয়োগ একটি জরুরি অবস্থা সৃষ্টি করতে পারে, যা জাপানের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) ভোরে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি ঘটনাকে ‘অত্যন্ত দুঃখজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি জানান, জাপান চীনের কাছে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে এবং এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছে।
মন্ত্রণালয় জানায়, শনিবারের ঘটনার কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা আহতের ঘটনা ঘটেনি। প্রথম ঘটনা ঘটে ওকিনাওয়া দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব সমুদ্র এলাকায়। সেখানে চীনা নৌবাহিনীর বিমানবাহী রণতরী লিয়াওনিং থেকে উড্ডয়ন করা একটি জে-১৫ যুদ্ধবিমান জাপানি আকাশসীমায় অনুপ্রবেশের পর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে উড়তে থাকা জাপানি এফ-১৫ যুদ্ধবিমানের ওপর বিরতিহীনভাবে রাডার লক করেছে।
প্রায় দুই ঘণ্টা পর একই রণতরী থেকে আরও একটি জে-১৫ বিমান অন্য একটি জাপানি যুদ্ধবিমানের ওপর একই ধরনের রাডার লক করেছে বলে টোকিওর দাবি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এই ধরনের রাডার লক কেবল নিরাপদ উড্ডয়ন নিশ্চিত করার সীমার বাইরে গিয়ে বিপজ্জনক আচরণের শামিল।” সামরিক বাহিনী সাধারণত ফায়ার কন্ট্রোল বা লক্ষ্য শনাক্তকরণের জন্য রাডার ব্যবহার করে থাকে। কোনো যুদ্ধবিমানের ওপর রাডার লক করা আক্রমণাত্মক উদ্দেশ্যের ইঙ্গিত হিসেবে বিবেচিত হয়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...