বিজ্ঞাপন
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল বা এপিসেন্টার ছিল দেশের উত্তরাঞ্চলীয় হনশু দ্বীপের আওমোরি জেলার উপকূল থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে এবং সমুদ্রের তলদেশের ৫০ কিলোমিটার গভীরে। প্রথম দিকে সুনামি সতর্কতা জারি করা হলেও পরে তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে ভূতত্ত্ববিদরা আরও সম্ভাব্য ভূমিকম্পের জন্য সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাচি ভূমিকম্পের পর দেশবাসীর উদ্দেশে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “সামনের কয়েক দিন সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। কম্পন অনুভূত হওয়া মাত্রই নিরাপদ স্থানে চলে যেতে প্রস্তুত থাকুন। একই সঙ্গে মূল্যবান সম্পত্তি ও আসবাবপত্র ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার ব্যবস্থা নিন।”
ভূমিকম্পের পর আওমোরি ও আশপাশের উপকূলীয় এলাকা থেকে প্রায় ৭০ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, জানিয়েছেন জাপানের দুর্যোগ মোকাবিলা বিভাগের উদ্ধারকারী দল। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে দেশটির উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের মধ্যকার ট্রেন পরিষেবা বন্ধ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের আওতায় ইতোমধ্যে আওমোরি ও উত্তরাঞ্চলে কয়েকটি ‘রেসপন্স অফিস’ খোলা হয়েছে, জানিয়েছে জাপানের মন্ত্রিপরিষদ সচিব মিনোরু কিহারা।
জাপান বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। ভৌগলিকভাবে এটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘আগ্নেয় মেখলা’ বা রিং অব ফায়ার অঞ্চলে অবস্থিত। প্রতি বছর গড়ে প্রায় ১ হাজার ৫০০ ভূমিকম্প হয় এই দেশে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...