শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বিজ্ঞাপন
আইএএনএস-এর খবরে বলা হয়, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইমেইলের মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
খালেদা জিয়ার বর্তমান সংকটাপন্ন পরিস্থিতি ও তার চিকিৎসা কেন্দ্রের নিরাপত্তা জোরদার প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে শেখ হাসিনা বলেন, “বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ হয়েছেন শুনে আমি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। আমি প্রার্থনা করি তিনি যাতে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।”
বাংলাদেশের ৫৪ বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসে দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রী—খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনা—মোট তিন দশকেরও বেশি সময় দেশের নির্বাহী ক্ষমতায় ছিলেন। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার টানা ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে এবং তিনি ভারতে আশ্রয় নেন। অন্যদিকে রাজনৈতিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে খালেদা জিয়ার পূর্ণ মুক্তি ও দুর্নীতি মামলায় খালাস পাওয়া সম্ভব হয়।
এদিকে, একই বছরের উত্তাল পরিস্থিতিতে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। পাশাপাশি প্লট দুর্নীতিসহ আরও দুটি মামলায় তার সাজা ঘোষিত হয়। অন্যদিকে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি সরকারকে দায়ী করে আসছেন।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে হৃদ্রোগ, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস ও কিডনি জটিলতাসহ বিভিন্ন দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগছেন। গত ২৩ নভেম্বর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়ার পর তার ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর থেকেই তিনি সিসিইউতে চিকিৎসাধীন, এবং তার শারীরিক অবস্থা ‘অত্যন্ত সংকটজনক’ বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ড তার চিকিৎসা তত্ত্বাবধান করছে। উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে লন্ডনে নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও তার হঠাৎ শারীরিক অবনতির কারণে এখনো সেই উদ্যোগ বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, চেয়ারপারসনকে বিদেশে নেওয়ার সিদ্ধান্ত এখন সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে “তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি, উড়োজাহাজে ভ্রমণের সক্ষমতা এবং মেডিকেল বোর্ডের মতামত”–এর ওপর।
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২০১৮ সালে দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়। দুই বছর পর মহামারীর সময় তার সাজা স্থগিত রেখে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয় সরকার। সে সময়ে বিদেশে চিকিৎসার জন্য বিএনপি ও তার পরিবার আবেদন জানালেও শেখ হাসিনার সরকার তা অনুমোদন দেয়নি।
সূত্র: আইএএনএস
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...