Logo Logo

তদন্ত কমিটির সামনে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করল এলাকাবাসী


Splash Image


বিজ্ঞাপন


তদন্ত কমিটির সামনে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ২শ’ মানুষ। বিক্ষুব্ধরা শিক্ষকের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উত্থাপন করেন। তারা তদন্ত কমিটির হাতে লিখিত অভিযোগ হস্তান্তর করেন। অবিলম্বে ওই শিক্ষকের স্থায়ী বদলির দাবিতে তারা স্লোগান দেন । খবর পেয়ে ওসি ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের শান্ত থাকা ও তদন্তে সহযোগিতার আহ্বান জানান।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এমন ঘটনা ঘটেছে গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলা সদরের ৬নং ঘাঘরকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক তপতী বাড়ৈর বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা, ক্লাস ফাঁকি, শিক্ষার্থীদের প্রতি অমানবিক আচরণসহ শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এতে ভিত্তি করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস তদন্ত কমিটি গঠন করে।

এদিন দুপুরে তদন্ত টিম স্কুলে পৌঁছালে ক্লাস্টার এলাকার দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জড়ো হয়ে তপতী বাড়ৈর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উত্থাপন করেন। তাকে এ বিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বদলীর দাবিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

অভিভাবক এমদাদ আলী বলেন, তপতী ম্যাডাম যোগদানের পর থেকেই বিদ্যালয়ে অরাজকতা তৈরি হয়েছে। ইচ্ছেমতো স্কুলে আসেন, ক্লাস নেন না। তার শিশু সন্তানকে দিয়ে ক্লাসে মোবাইল চালান। আমরা দ্রুত তার বদলী চাই। তা না হলে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচী দেওয়া হবে। অভিভাবক শাহনাজ বেগম বলেন, তপতী ম্যাডামের বাজে আচরণের জণ্য এখানে কোন ভালো শিক্ষক থাকতে চায় না । শিক্ষকদের সঙ্গেও তার আচরণ ভালো নয়। ছাত্র-ছাত্রীরাও তার ভয়ে থাকে । ক্লাসে বাচ্চাদের ওপর নির্যাতন করেন।

অভিভাবক শাহাদাত গাজী অভিযোগ করেন, আমরা বহুবার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। তিনি উল্টো ভয়ভীতি দেখান। শুনেছি তার একাধিক বিয়ে রয়েছে। শুনেছি এক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ফাঁসিয়ে ২০ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। তার কারণে কেউ এই স্কুলে থাকতে চায় না। অনেক সহ্য করেছি আর না। আমরা তার স্থায়ী বদলী চাই। কর্তৃপক্ষ যদি তার বদলী না করে তাহলে আমরা আমাদের সন্তানদের এখানে পড়াবো না।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নমিতা মন্ডল জানান, গত বছর আমি এখানে যোগ দেওয়ার আগ পর্যন্ত তপতী বাড়ৈ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন। দায়িত্ব হস্তান্তরের সময় আর্থিক হিসাব দিতে পারেননি। নিয়মশৃঙ্খলা মানেন না, ক্লাসও ঠিকমতো নেন না। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা অফিসে একাধিকবার জানিয়েছি।

সহকারি শিক্ষক প্রনয় বিশ্বাস ও দীপক গাইন বলেন, তপতী ম্যাডামের আচরণ সবসময়ই উৎশৃঙ্খল। ভয় পেয়ে তাকে আমরা কিছু বলতে পারি না। তার কারণে অনেক শিক্ষকই বদলী নিয়ে চলে গেছেন এখান থেকে। অভিযুক্ত তপতী বাড়ৈ সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলতে রাজি হননি। এ কারেণে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

কোটালীপাড়া থানার ওসি বলেন, আমি ঘটনা স্থলে গিয়ে অভিবাবকদের শান্ত থাকতে বলি। তদন্ত কর্মকর্তাদের তদন্তে সহযোগিতা করার আহবান জানাই। তদন্ত কমিটির সদস্য সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ মো: আহসান বলেন, আমরা অভিযোগকারীদেরসহ অভিযুক্ত শিক্ষক, অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে বক্তব্য নিয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদন উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে উপস্থাপন করা হবে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেখর রঞ্জন বলেন, তপতী বাড়ৈর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্তে অভিযোগ

প্রমাণিত হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...