বিজ্ঞাপন
১৯৭১ সালে জন্মগ্রহণ করা ড. হারুন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৃত্তিকা বিজ্ঞানে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে তিনি জার্মানির বিখ্যাত হাইডেলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টর অব সায়েন্স (ডি.এসসি) ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর গবেষণার অন্যতম বিষয় ছিল মসুর ডালের রাইজোবিয়া ব্যাকটেরিয়ার জেনেটিক বৈচিত্র্য। এছাড়া তিনি মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি কেবাংসান (UKM) থেকে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেছেন।
ড. হারুনের ক্যারিয়ারের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সাফল্য হলো তিনটি নতুন ব্যাকটেরিয়া প্রজাতি আবিষ্কার করা। এই যুগান্তকারী অবদানের জন্য ২০১৬ সালে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) তাকে 'সেরা কৃষি বিজ্ঞানী স্বর্ণপদক' প্রদান করে। তাঁর আবিষ্কৃত প্রজাতির মধ্যে রয়েছে Rhizobium lentis, Rhizobium bangladeshense এবং Rhizobium binae।
দীর্ঘ ২৫ বছরেরও বেশি সময়ের কর্মজীবনে তিনি বায়ো-ফার্টিলাইজার (জৈব সার), উদ্ভিদের টিস্যু কালচার এবং আণবিক জীববিজ্ঞান নিয়ে কাজ করছেন। তাঁর গবেষণার মূল লক্ষ্য হলো প্রতিকূল পরিবেশে শস্যের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পরিবেশবান্ধব কৃষি প্রযুক্তির উদ্ভাবন। এ পর্যন্ত তাঁর ৪১টি আন্তর্জাতিক ও জাতীয় মানের গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তিনি ছয়জন পিএইচডি এবং ২০ জন এমএস শিক্ষার্থীর গবেষণার তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ করেছেন।
ড. হারুন ১৯৯৯ সালে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবে বিনায় কর্মজীবন শুরু করেন। ২০১৯ সালে তিনি প্রিন্সিপাল সায়েন্টিফিক অফিসার পদে পদোন্নতি পান। তিনি বিনার আণবিক জীববিজ্ঞান ও টিস্যু কালচার ল্যাবরেটরি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও তাঁর বিশেষ পরিচিতি রয়েছে; তিনি আইএইএ (IAEA), ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আইডিবি (IDB)-র মতো সংস্থা থেকে সম্মানজনক ফেলোশিপ লাভ করেছেন ।
বর্তমানে তিনি বিনার গোপালগঞ্জ উপকেন্দ্রে থেকে বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...