বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোররাতে আগিয়া গ্যালিনির দক্ষিণাংশের সাগরে বিপদগ্রস্ত নৌকাটির অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর গ্রিসের হেলেনিক কোস্টগার্ডের অভিযানে নৌকায় থাকা সবাইকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার শেষে তাদের রেথিম্নো শহরের কিত্রেনোসি ভবনে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে কোস্টগার্ডের তত্ত্বাবধানে অভিবাসীদের নিবন্ধন ও পরিচয় যাচাই কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের মধ্যে চারজন নারী ও দুটি শিশু রয়েছে। বাকিরা অধিকাংশই প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ। রেথিম্নোর কোস্টগার্ড প্রধান কিরিয়াকোস পাত্তাকোস বলেন, বর্তমানে প্রশাসনের প্রধান লক্ষ্য হলো মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত চক্রকে চিহ্নিত করা এবং অভিবাসীদের দ্রুত অন্যত্র স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা।
এদিকে রেথিম্নো পৌরসভার উপমেয়র (নাগরিক সুরক্ষা) ইয়োরগোস স্কোরদিলিস জানিয়েছেন, একসঙ্গে এত বিপুলসংখ্যক অভিবাসীকে আশ্রয় দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত অবকাঠামো স্থানীয় প্রশাসনের নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সমন্বয়ের ঘাটতির কারণে পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসন চাপের মুখে পড়েছে। আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয়েছে, সোমবার ৩০০ জন অভিবাসীকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হবে এবং অবশিষ্টদের আগামী সপ্তাহের মধ্যে সরিয়ে নেওয়া হবে।
কোস্টগার্ডের তথ্য অনুযায়ী, উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও ৪৬ জন পাকিস্তানি, ৩৪ জন মিসরীয়, ১২ জন ইরিত্রীয় (যাদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছে), ৫ জন সোমালি এবং সুদান, ইয়েমেন ও ফিলিস্তিনের নাগরিক রয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মানবপাচারকারীদের সহায়তায় তারা লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল থেকে প্রায় ৩৬ ঘণ্টার ঝুঁকিপূর্ণ সমুদ্রযাত্রা শেষে গ্রিসে পৌঁছান।
এ ঘটনায় গ্রিসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...