Logo Logo

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় অবৈধভাবে পাথর বালু উত্তোলনে অভিযান পরিচালনা


Splash Image

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলনে উপজেলা প্রশাসন, থানা পুলিশ ও বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট (বিওপি) এর যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানের সময় একটি ড্রেজার মেশিনসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।


বিজ্ঞাপন


সোমবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের পাঠানপাড়া এলাকায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস.এম. আকাশের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

এসময় ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, উপ পরিদর্শক (এসআই) বিধান চন্দ্র রায়সহ সঙ্গীয় ফোর্স, ময়নাগুড়ি বিওপির নায়েক সুবেদার আব্দুল মজিদ, ল্যান্স নায়েক শাহিনুর, সিপাহী মিজানুর ও সঞ্জীত কুমার, গ্রাম পুলিশ আবু তালেব, সেহের আলী, বাবুল হোসেন ও নুর ইসলাম, ইউপি সদস্য ওবায়দুল হক সহ এলাকাবাসীর ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মরত ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান পাঁচ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৭ জনের বিরুদ্ধে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন। এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা হলেন, পাঠানপাড়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুল কাদের (৫০), জরিফুল ইসলাম (৪৫), করিমুল ইসলাম (৩৮) ও জমির উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সালাম(৪৭) এবং বাংলাচন্ডি গ্রামের মৃত সামিরুল ইসলামের ছেলে আনোয়ার হোসেন(৩৫)।

উপজেলা প্রশাসন এসিল্যান্ড অফিস ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের শেখগছ মৌজার জেএল নং ৩২ এর এস.এ ৫৩১ নং খতিয়ানের এস.এ ৩৩৯৮ ও ৩৪৩৩ নং দাগের জনৈক মৃত খলিলুর রহমান গং এর আবাদি জমিতে অভিযান চালানো হয়। যেখানে ড্রেজার মেশিন ব্যবহার করে অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল। প্রশাসনেরর উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্তরা ড্রেজার, ড্রেজারের পাইপ ও পাথর ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ অভিযানের তেঁতুলিয়া মডেল থানার ১০০২ নং সাধারন ডায়েরী উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযানকালে ঘটনাস্থল থেকে একটি ডিজেল চালিত পুরাতন মডিফাইড ড্রেজার মেশিন, ছয় ইঞ্চি ব্যাসার্ধের দুটি পাইপ এবং ছোট বড় দশ সিএফটি পরিমাণ পাথর জব্দ করা হয়। জব্দকৃত মালামালের আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৯১ হাজার টাকা বলে জানাগেছে। জানা যায়, গ্রামপুলিশ ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় জব্দকৃত মালামালগুলো পাথরের গর্ত থেকে তুলে একত্রিত করা হয়।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস.এম. আকাশ বলেন, আবাদি জমি থেকে অবৈধভাবে পাথর ও বালু উত্তোলনের ফলে ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে এবং পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। জনস্বার্থে এ ধরনের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম জানান, থানায় একটি এজাহার দাখিল করা হয়েছে। অভিযানে জব্দকৃত মালামাল থানা হেফাজতে আনা হয়েছে। এজাহারে পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং অজ্ঞাতনামা আসামিদের শনাক্তের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...