বিজ্ঞাপন
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের পরপরই প্রাইভেট জেটটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। বিমানে চারজন উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা এবং তিনজন ক্রু সদস্য ছিলেন। দুর্ঘটনায় কেউ বেঁচে নেই।
লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আব্দুল হামিদ দেবেইবা সেনাপ্রধানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, তুরস্কে সরকারি সফর শেষে দেশে ফেরার পথে আল-হাদ্দাদের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।
নিহত সেনাপ্রধান আল-হাদ্দাদ পূর্ব লিবিয়ার একজন গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কমান্ডার ছিলেন। বিভক্ত হয়ে যাওয়া লিবিয়াকে পুনরায় একত্রিত করতে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রেখে আসছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর হামলার পর লিবিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফি নিহত হন। ন্যাটোর হস্তক্ষেপ ও গাদ্দাফির মৃত্যুর পর থেকেই দেশটি কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে, যা এখনো পুরোপুরি সমাধান হয়নি।
সেনাপ্রধানের সঙ্গে নিহত অন্যান্য কর্মকর্তারা হলেন—লিবিয়ার স্থল বাহিনীর প্রধান জেনারেল আল-ফিতোরি ঘারিবিল, সেনাবাহিনীর ম্যানুফ্যাকচারিং অথরিটির প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহমুদ আল-কাতাই, সেনাপ্রধানের উপদেষ্টা মুহাম্মদ আল-আওয়াসি দিয়াব এবং তার ব্যক্তিগত ফটোগ্রাফার মুহাম্মদ ওমর আহমেদ মাহজুব।
তুরস্কের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, লিবিয়া ও তুরস্কের মধ্যে সামরিক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে সেনাপ্রধান আল-হাদ্দাদ আঙ্কারা সফরে গিয়েছিলেন।
তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়ারলিকায়া জানান, লিবিয়ার সেনাপ্রধানকে বহনকারী বিমানটি স্থানীয় সময় রাত ৮টা ১০ মিনিটে ত্রিপোলীর উদ্দেশে আঙ্কারা থেকে উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের প্রায় ৪০ মিনিট পর বিমানটির সঙ্গে রেডিও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পরবর্তীতে আঙ্কারার হায়মানা জেলার কেসিকাভাক এলাকায় বিমানটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়। এর আগে পাইলট জরুরি অবতরণের অনুমতি চেয়েছিলেন বলে জানানো হলেও এরপর আর বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...