Logo Logo
স্বাস্থ্য
স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ

হাসপাতালে চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন না ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিরা


ভোরের বাণী

Splash Image


বিজ্ঞাপন


স্বাস্থ্যখাতে দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও অপ্রতিস্পর্ধিত প্রভাব খাটানোর সংস্কৃতি রুখতে এবার বড় ধরনের সংস্কারের সুপারিশ আনলো স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন।

সোমবার (৫ মে) বেলা ১১টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে পেশ করা এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসকদের সঙ্গে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির সরাসরি যোগাযোগ নিষিদ্ধ করতে হবে। ওষুধ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চিকিৎসকদের কাছে পৌঁছাতে হবে শুধুমাত্র ই-মেইলের মাধ্যমে।

প্রতিবেদনে আরও সুপারিশ করা হয়েছে, এমবিবিএস চিকিৎসক ছাড়া যেন কেউ অ্যান্টিবায়োটিক প্রেস্ক্রাইব না করতে পারে। ওষুধের দাম, বিভিন্ন ল্যাব টেস্টের মূল্য এবং চিকিৎসকদের পরামর্শ ফি নির্ধারণ করে দেওয়ার প্রস্তাবও এসেছে কমিশনের পক্ষ থেকে। এ ছাড়াও ওষুধ কোম্পানিগুলো চিকিৎসকদের ‘উপহার’ বা ‘নমুনা’ দেওয়ার চর্চা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে, যা চিকিৎসা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা ফিরিয়ে আনতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে কমিশন।

কমিশনের প্রধান সুপারিশে রয়েছে একটি মৌলিক সাংবিধানিক পরিবর্তনের আহ্বান। বলা হয়েছে, ‘প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা’কে সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সেই সঙ্গে প্রণয়ন করতে হবে পৃথক একটি “প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা আইন”, যাতে সকল নাগরিক বিনা মূল্যে বা কম খরচে এই সেবা পাওয়ার অধিকার লাভ করেন।

স্বাস্থ্যসেবায় দীর্ঘমেয়াদি ন্যায্যতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে কমিশন ৭টি নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে রয়েছে—বাংলাদেশ স্বাস্থ্য কমিশন আইন, হেলথ সার্ভিস আইন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন, ওষুধের দাম ও প্রবেশাধিকার আইন, মেডিকেল রিসার্চ কমিশনার আইনসহ আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খসড়া।

একই সঙ্গে প্রস্তাবিত হয়েছে একটি স্বতন্ত্র “পাবলিক সার্ভিস কমিশন (স্বাস্থ্য)” গঠন, যা স্বাস্থ্য খাতে নিয়োগ ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে।

প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সর্বজনীন প্রাপ্যতা নিশ্চিতে সরকারের জন্য দায়িত্ব নির্ধারণ করে বলা হয়েছে, কেউ যেন অর্থের অভাবে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত না হন। এছাড়া, উপজেলা পর্যায়ে সেকেন্ডারি স্বাস্থ্যসেবা ও জেলা হাসপাতালে টারশিয়ারি (বিশেষায়িত) চিকিৎসা চালুর ওপরও জোর দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিটি বিভাগীয় শহরে একটি করে বিশ্বমানের টারশিয়ারি হাসপাতাল গড়ে তুলতে হবে, যাতে বিশেষায়িত সেবা আরও সহজলভ্য হয় এবং রোগীদের উপর জাতীয় পর্যায়ের হাসপাতালগুলোর চাপ কমে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ নভেম্বর গঠিত এই ১২ সদস্যের স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পান অধ্যাপক এ কে আজাদ খান। কমিশনে রয়েছেন দেশের খ্যাতিমান চিকিৎসক, গবেষক ও প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ।

আরও পড়ুন

জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলন
জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলন
নড়াইলে জেলা বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ
নড়াইলে জেলা বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ