বিজ্ঞাপন
হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন সচল থাকলেও এক্স-রে ফিল্মের অভাবে রোগীদেরকে বাইরের বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে এক্স-রে করাতে বাধ্য করা হচ্ছে।
হাসপাতালের রেকর্ড অনুযায়ী, প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ জন রোগী এক্স-রে করানোর জন্য বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে ছুটতে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন। যেখানে হাসপাতালে মাত্র ৫০ থেকে ৭০ টাকায় এক্স-রে করানো যেত, সেখানে এখন রোগীদেরকে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত গুনতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফার সাথে কথা হলে তিনি জানান, সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং ইতোমধ্যে আশেপাশের উপজেলা হাসপাতাল থেকে কিছু পরিমাণ ফিল্ম ধার করে আনা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হাসপাতাল কর্মচারী জানান, প্রায় তিন মাস ধরে নকলা হাসপাতালে এক্স-রে ফিল্ম নেই। এতদিনেও ইউএইচও এবং এফপিও পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
এছাড়া জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা নকলা হাসপাতালে তিন বছর আগে যোগদান করলেও তিনি এখনও পর্যন্ত একদিনও হাসপাতালে অবস্থিত কোয়ার্টারে থাকেননি। সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতালের আবাসিক এলাকায় কয়েকটি অফিসার্স কোয়ার্টার নির্মাণ করলেও অধিকাংশই পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে, নকলা হাসপাতালের ইউএইচও’র জন্য বরাদ্দকৃত প্রায় অর্ধকোটি টাকার সরকারি গাড়িটি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গাড়িটি তার নিজ বাড়িতে রাখা হয় এবং তা দিয়ে পরিবারের বিভিন্ন ব্যক্তিগত কার্য সম্পাদন করা হয়। অথচ হাসপাতালের গ্যারেজে গাড়িটি রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া সরকারি এম্বুলেন্সটি প্রায় সময় বাইরে পড়ে থাকে।
প্রতিবেদক-মোঃ আরিফুর রহমান, জেলা প্রতিনিধি, শেরপুর
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...