বিজ্ঞাপন
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর আপ্রাণ চেষ্টা সত্ত্বেও আগুনের তীব্রতা এতটাই ছিল যে অন্তত তিনটি দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায় এবং আরও কয়েকটি দোকান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে একটি দোকান থেকে হঠাৎ করে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। ধোঁয়ার সূত্র ধরেই ধরা পড়ে আগুনের ভয়াবহতা। কয়েক মিনিটের মধ্যেই আগুন আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয়রা পানি দিয়ে চেষ্টা চালান, তবে আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে তা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হন।
খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে হরিরামপুর ফায়ার সার্ভিস ইউনিট। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের হরিরামপুর ইউনিট লিডার মো. সোলাইমান মিয়া জানান, সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে। তার ভাষায়, “দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার কারণেই পুরো বাজার জুড়ে আগুন ছড়িয়ে পড়া থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে।”
আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর মধ্যে ছিল একটি ফার্মেসি, মোবাইলের দোকান, জুতার দোকান, পোশাক ও সেলুন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের অনেকেই জানান, দোকানে ছিল বিপুল পরিমাণ মালামাল, যার মধ্যে অধিকাংশই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
এ ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে চরম উৎকণ্ঠা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। অনেকে অভিযোগ করছেন, বাজার এলাকায় আগুন নেভানোর কোনো উপযুক্ত ব্যবস্থাপনা বা প্রস্তুতি ছিল না, যা এ ক্ষয়ক্ষতির অন্যতম কারণ।
ঝিটকা বাজার হরিরামপুর উপজেলার অন্যতম প্রাচীন ও বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বাজার। প্রতিদিন হাজারো মানুষ এখানে কেনাকাটায় আসেন। আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানগুলোর অধিকাংশই ছিল দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, যা বহু মানুষের জীবিকা নির্বাহের কেন্দ্রস্থল ছিল।
প্রতিবেদক - মো. মামুন হোসাইন, মানিকগঞ্জ।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...