বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকালে আলীপুর মৎস্য বন্দরের ‘আবদুল্লাহ ফিস’-এ মাছগুলো নিলামের মাধ্যমে ২০ লাখ ৬২ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। এর আগের দিন বুধবার রাত ১২টায় নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পরপরই পায়রা বন্দরসংলগ্ন গভীর সমুদ্রে জাল ফেলে এই বিপুল পরিমাণ ইলিশ ওঠে।
ট্রলারের মাঝি ইউনুস মিয়া বলেন, “বুধবার রাত ১২টায় ১৯ জন জেলেকে নিয়ে ‘এফবি তামান্না’ ট্রলারটি নিয়ে গভীর সাগরে যাত্রা করি। পায়রা বন্দরের পাশে জাল ফেলতেই ইলিশে ভরে যায় জাল। দীর্ঘদিন পর এত মাছ পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত।”
এফবি তামান্না ট্রলারের মালিক ইউসুফ (কোম্পানি) হাওলাদার বলেন, “অবরোধ শেষে এত মাছ পেয়ে আমরা খুব খুশি। ধারদেনা করে ট্রলার পাঠিয়েছিলাম। মাছ না পেলে বড় লোকসানে পড়তে হতো। কিন্তু শুরুতেই এমন ফলাফলে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জানাচ্ছি।”
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, “এ বছর সঠিকভাবে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা পালিত হয়েছে। ফলে ইলিশের প্রজনন ভালো হয়েছে। এখন সমুদ্রে প্রচুর মাছ রয়েছে। এতে জেলেদের জালে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। আশা করছি, জেলেরা এবার বিগত বছরের লোকসান পুষিয়ে উঠতে পারবেন।
-জাকারিয়া জাহিদ, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি