বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। ফাইল ছবি
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১৬ জুন) ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪ এর বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ রায় ঘোষণা করেন।
খালাসপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন— বিএনপি নেতা আব্দুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশিদ হাবিব, ইসহাক সরকার, কাজী আবুল বাশার, নজরুল ইসলাম খান টিপু, এম এ সৈয়দ মন্টু, আ. সাত্তার ও মো. সালাউদ্দিন।
বিচার চলাকালে আদালতে আসামিদের পক্ষে উপস্থিত আইনজীবী মহি উদ্দিন চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, “মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায় থেকেই আদালত স্পষ্ট করেন যে, এ মামলার কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার মতো কোনো প্রমাণ বা উপাদান নেই। সে কারণেই বিচারক মামলাটি নিষ্পত্তি করে সবাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।”
২০১৩ সালের ১০ নভেম্বর, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলের ডাকা হরতাল চলাকালে রাজধানীর সূত্রাপুর থানাধীন এলাকায় একটি চলন্ত লেগুনায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে দুষ্কৃতকারীরা। এতে গাড়িতে থাকা পাঁচজন দগ্ধ হন।
পরদিন, ১১ নভেম্বর, সূত্রাপুর থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন তৎকালীন পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) নয়ন ফারকুন। মামলায় বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকাসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ২১ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আনোয়ার আলম আজাদ ঢাকার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ নয়জনের বিরুদ্ধে বিচারকাজ শুরু হয়।
আদালতের পর্যবেক্ষণে উঠে আসে, ঘটনার প্রমাণ বা নির্ভরযোগ্য সাক্ষ্য না থাকায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হয়নি। ফলে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই তাদের খালাস প্রদান করা হয়।
রায় ঘোষণার পর আসামিপক্ষের আইনজীবী এই সিদ্ধান্তকে ‘ন্যায়বিচার’ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, “যে মামলা ভিত্তিহীন ছিল, তার নিষ্পত্তিও হয়েছে যথাযথভাবে।”