ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
তবে এমন একটি সফল চলচ্চিত্র মুক্তির পরই পড়েছে পাইরেসির কবলে, যা ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে ‘তাণ্ডব’ ও পাইরেসি ইস্যুতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন শাকিব খান। তিনি জানান, পাইরেসির কারণে একটি মহল ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করলেও, বাস্তবে এর প্রভাব উল্টো হয়েছে। দর্শকের আগ্রহ আরও বেড়েছে।
শাকিব খান বলেন, “পাইরেসি হওয়ার পরও এই বাজে মহলটা যেমন বুঝাতে চেয়েছে পাইরেসি হয়ে গেছে, এই সিনেমা আর চলবে না, সিনেমার সেল নেই। কিন্তু পাইরেসি হওয়ার পর ‘তাণ্ডব’-এর ডিমান্ড আরও বেড়ে গেছে। ইনশাআল্লাহ, আমি গতবারও যেমন বলেছি, ‘তাণ্ডব’ গুলশান থেকে গুলিস্থান পর্যন্ত সব জায়গায় মানুষকে মুগ্ধ করছে। ‘তাণ্ডব’ দেশ-বিদেশে যেখানেই যাচ্ছে, সেখানেই মানুষের মনে তাণ্ডব লাগিয়ে যাচ্ছে।”
তিনি এই সময়ে বাংলা সিনেমার পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, “পাইরেসির বিরুদ্ধে আমাদের সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে। বাংলা সিনেমা পুরো দেশের সিনেমা, এটা আমাদের সিনেমা। আমাদের সিনেমার উন্নয়নে আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে। পাইরেটেড কপিকে ‘না’ বলতে হবে।”
সিনেমা ধ্বংসে এক চক্রের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে শাকিব খান বলেন, “কিছুদিন আগে ‘তাণ্ডব’-এর ক্ষেত্রেও একটি কুচক্রী মহল ছিল, যারা সবসময় বাংলাদেশের সিনেমাকে ধ্বংস করতে চায়। বাংলাদেশের সিনেমা আজ যেখানে পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে যাচ্ছে, খুব সম্মানের সাথে, গর্বের সাথে চলছে, সেই সময়ে এসে একটি বাজে মহল, খারাপ মহল সবসময় চায় আমাদের সিনেমা যেন ধ্বংস হয়ে যায়। আমরা যেন আর ভালো সিনেমা না বানাতে পারি।”
তিনি আরও বলেন, “সেই জাতি সবচেয়ে উন্নত থাকে, যে জাতির সাংস্কৃতিক দিক সবচাইতে এগিয়ে যায়। আমরা আমাদের সিনেমা ও সংস্কৃতিকে নিয়ে বিশ্বমঞ্চে ছড়িয়ে যাচ্ছি, সেই মুহূর্তে দেখেন পাইরেসি করে দেয়। আমরা ‘বরবাদ’-এর সময় দেখেছি, এবার ‘তাণ্ডব’-এ দেখলাম যে আরও আগে পাইরেসি করে দিলো।”
সংবাদ সম্মেলনে শাকিব খান বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান দেশের সিনেমাপ্রেমী দর্শকদের, যাঁদের ভালোবাসায় ‘তাণ্ডব’ পেয়েছে দুর্দান্ত সাড়া। তার মতে, বাংলা সিনেমার প্রতি ভালোবাসা এবং সম্মিলিত উদ্যোগই পারে এই শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং পাইরেসির মতো অপসংস্কৃতি থেকে রক্ষা করতে।