বিজ্ঞাপন
শাহ আলম খান ফারসু ঝালকাঠি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং কাউন্সিলর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি বিএনপির ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় ফারসুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ঝালকাঠি জেলা মহিলা দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তা বেগম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। অভিযোগে বলা হয়, ২০২২ সালের ৫ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা আইনজীবী সমিতির সামনে একটি বিক্ষোভ মিছিল করছিলেন। এ সময় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র ও ককটেল বোমা নিয়ে হামলা চালান এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এতে মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং কয়েকজন আহত হন।
মুক্তা বেগম অভিযোগ করেন, হামলার সময় তিনি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। মারধরের ফলে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তিনি আরও দাবি করেন, পরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হাসপাতালে গিয়েও তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সেখান থেকে বের করে দেন।
ঘটনার দীর্ঘদিন পর দেশে ‘সুস্থ রাজনৈতিক পরিবেশ ও সুশাসন’ ফিরে আসায় তিনি সাহস করে মামলাটি দায়ের করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় শাহ আলম খান ফারসু ২৬ নম্বর আসামি। পুলিশ জানিয়েছে, মামলা দায়েরের পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।
-মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি
জনপ্রিয়
জনপ্রিয়
আরো দেখুন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...
