বিজ্ঞাপন
এর আগে, একই দিন ভোররাতে উপজেলার ধর্মপুর গ্রামের সাতের দীঘির দক্ষিণ পাড়ের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি হলেন জাহিদুল ইসলাম রুবেল (৩৮)। তিনি চাটখিল উপজেলার রামনারায়ণপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি এবং মৃত হোসেন চৌধুরীর ছেলে।
চাটখিল থানা সূত্রে জানা গেছে, সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথভাবে রামনারায়ণপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামে অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে রুবেলের বসতবাড়ির দক্ষিণ পাশের জানালার সানশেডের ওপর থেকে একটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়, যার সঙ্গে ট্রিগার ও ফায়ারিং পিন সংযুক্ত ছিল। এছাড়াও ৩০৩ রাইফেলের ৭ রাউন্ড গুলি, ৭ রাউন্ড ১২ বোর কার্তুজ (রাবার বুলেট) এবং একটি লোহার তৈরি পুরাতন চাপাতি দা উদ্ধার করা হয়।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফিরোজ আহমেদ চৌধুরী বলেন, অভিযানে অভিযুক্ত ব্যক্তি নিজেই অস্ত্র ও গোলাবারুদের অবস্থান দেখিয়ে দেয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে (মামলা নং- ৯)। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
এদিকে, নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও চাটখিল উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এডভোকেট আবু হানিফ দাবি করেন, রুবেল একজন নম্র ও ভদ্র মানুষ হিসেবে এলাকায় পরিচিত। তার ঘরের বাইরের কার্নিশে কে বা কারা ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এসব অস্ত্র রেখে তাকে ফাঁসিয়েছে।
তিনি এই ঘটনাকে একটি গভীর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে উল্লেখ করেন এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের দাবি জানান।
প্রতিবেদক - গিয়াস রনি, নোয়াখালী।