বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহরাস্তি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার।
পুলিশ জানায়, আলমগীরকে হত্যার পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন তপন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২৪ জুন ২০২৫) রাতে ছদ্মবেশে ঢাকার উত্তর খান এলাকায় ভ্যানে করে জুতা বিক্রি করার সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর রাতেই তাকে শাহরাস্তি থানায় নিয়ে আসা হয়।
উল্লেখ্য, গত রমজানে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে সোনিয়া আক্তার মামা শ্বশুর তপনের সহযোগিতায় গলা কেটে আলমগীরকে হত্যা করেন।
তপন চিতোষী পূর্ব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপনের ছোট ভাই। এলাকায় তিনি একজন বখাটে ও প্রভাবশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।
এর আগে মামলার অন্যতম আসামি সোনিয়া আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিতে জানান, আলমগীরের সঙ্গে তার পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্কের কারণে পরিবারের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয় এবং মামা শ্বশুর তপনের সহযোগিতায় আলমগীরকে হত্যা করেন তিনি।
ওসি আবুল বাসার বলেন, “তপনকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। হত্যাকাণ্ডে তার ভূমিকা এবং আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা উদঘাটনে আমরা রিমান্ডের আবেদন করবো।”
প্রসঙ্গত, গত মার্চ মাসে শাহরাস্তির মনিপুর এলাকায় এক প্রবাসীর বাড়ির ছাদে ডেকে নিয়ে আলমগীরকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এ ঘটনা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। আলমগীর স্থানীয়ভাবে ‘মাইক ম্যান’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এ হত্যাকাণ্ডে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে অগ্রগতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
প্রতিবেদক- হাসান আহমেদ