বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের পশ্চিম খাজুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শহিদুল একই গ্রামের মৃত আলী ফকিরের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শহিদুল ফকির একটি মাছ ধরার ট্রলারে মাঝি হিসেবে কাজ করতেন। ওই ট্রলারের এক স্টাফের কাছে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নজরুল ফকিরের ছোট ভাই সোহেল ফকির (৩৫) পাওনা ছিলেন মাত্র ২ হাজার ৪০০ টাকা। টাকা আদায়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সোহেল ফকির ভারী কাঠের টুকরো দিয়ে শহিদুলের মাথায় আঘাত করেন। এতে শহিদুল রক্তাক্ত ও অচেতন হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার রিয়াজ হোসেন বলেন,
"বিকেল পাঁচটার দিকে শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত অবস্থায় আনা হলে আমরা ইসিজির মাধ্যমে তার মৃত্যু নিশ্চিত করি।"
নিহতের ছেলে সজল (১৯) জানান,
“আমার বাবার ট্রলারে যে স্টাফ কাজ করে, তার কাছে সোহেল ফকিরের ২৪০০ টাকা পাওনা ছিল। সোহেল এসে আমার বাবাকে গালাগালি করে। আমি টাকা পরিশোধ করেও দেই। কিন্তু টাকা দেওয়ার পরও সে কাঠের ভারী টুকরো দিয়ে বাবার মাথায় আঘাত করে, এতে তিনি অচেতন হয়ে মাটিতে পড়ে যান।”
ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়ায় লতাচাপলী ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান হাওলাদার বলেন,
“৫ আগস্টের পর থেকে লতাচাপলীতে আওয়ামী লীগের কতিপয় ব্যক্তি নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। আজকের ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই এবং দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।”
মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন,
“খবর পেয়ে আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। অভিযুক্ত সোহেল ফকির একাধিক মামলার আসামি, তার বিরুদ্ধে থানায় লিস্টেড মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের একটি বিশেষ টিম মাঠে কাজ করছে।”
প্রতিবেদক- জাকারিয়া জাহিদ, কলাপাড়া পটুয়াখালী