বিজ্ঞাপন
এছাড়া আমদানি-রপ্তানি পণ্যের শুল্কায়ন কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বন্দর কার্যত অচল হওয়ার পথে। কাস্টমসের অনুমোদন ছাড়া বন্দরের কোনো কার্যক্রমই সম্পন্ন হয় না, ফলে এই কর্মসূচির প্রভাব সরাসরি বন্দর কার্যক্রমে পড়ছে।
তবে এখনও পর্যন্ত কিছু পুরোনো অনুমোদন থাকা জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানো-নামানোর কাজ চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক মেডিটেরানিয়ান শিপিং কোম্পানির হেড অব অপারেশন অ্যান্ড লজিস্টিকস আজমীর হোসেন চৌধুরী জানান, “আগের অনুমোদন থাকায় জেটিতে জাহাজ থেকে কনটেইনার ওঠানো-নামানোর কাজ চলছে। তবে রপ্তানি শুল্কায়ন না হলে পণ্য রপ্তানি করা যাবে না। আবার যেসব জাহাজ এখন নিবন্ধন হয়নি, সেগুলোতে কনটেইনার ওঠানো-নামানো করা যাবে না।”
চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে দেশের সিংহভাগ আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এই বন্দর থেকেই জাতীয় অর্থনীতির প্রাণ হিসেবে পরিচিত শুল্ক আদায়ের বড় অংশ সংগৃহীত হয়। শুল্ক ও কর ব্যবস্থাপনায় সংস্কার এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে শুল্ক–কর কার্যালয়গুলোতে লাগাতার শাটডাউন কর্মসূচি ডেকেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এ প্রসঙ্গে শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক খায়রুল আলম বলেন, “এই কর্মসূচি আমদানি-রপ্তানিতে ভয়াবহ সংকট তৈরি করবে। কারণ, কাস্টমসের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পুরো বন্দরে অচলাবস্থা তৈরি হবে।”
চট্টগ্রাম বন্দরে কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ থাকলে শুধু শিপিং নয়, পণ্য পরিবহন, খালাস, সাপ্লাই চেইন এবং রাজস্ব আদায়ে বিশাল ধস নামার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয়, সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কীভাবে এই সংকটের সমাধান করে এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি ঠেকাতে কী পদক্ষেপ নেয়।