Logo Logo

ইবাদতের জন্য শ্রেষ্ঠ সময়


Splash Image

প্রতিকী ছবি

হে আল্লাহ! আমার উম্মতের জন্য সকালকে বরকতময় করে দাও।” — তিরমিজি


বিজ্ঞাপন


সকালের নরম আলো, হালকা বাতাস আর নিঃশব্দ পরিবেশ শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্য নয়—এটি একজন মুমিনের আত্মার জন্য এক অপার প্রশান্তির উৎস। এই সময়টাই জীবনের সর্বোত্তম ইবাদতের জন্য উপযুক্ত, যেখানে অন্তর সহজেই আল্লাহর দিকে ঝুঁকে পড়ে। প্রকৃতির এই শান্ত মুহূর্তে একজন মুসলিম তার আত্মাকে পরিশুদ্ধ করার দারুণ সুযোগ পায়।

ভোরের আবহাওয়ার শীতলতা, পাখির কুহুকুহু ডাক এবং চারপাশের নির্মল নিস্তব্ধতা মিলে সকালকে এক অলৌকিক তসবিহ-ভরা সময় করে তোলে। ফজরের নামাজের পর যে কেউ কুরআন তিলাওয়াত, জিকির এবং দোয়ার মাধ্যমে তার দিন শুরু করতে পারে—এটি আত্মিক প্রশান্তি ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের শ্রেষ্ঠ উপায়।

রাসুলুল্লাহ ﷺ এ সময়ের গুরুত্ব বোঝাতে দোয়া করেছেন: “হে আল্লাহ! আমার উম্মতের জন্য সকালকে বরকতময় করে দাও।” (তিরমিজি)। এ হাদিস থেকেই আমরা বুঝতে পারি, সকাল কেবল জাগরণের সময় নয়, বরং এটি কল্যাণ, বরকত এবং আত্মিক উন্নয়নের সময়।

বর্তমান জীবনের ক্লান্তি, উদ্বেগ ও ব্যস্ততায় সকাল হয়ে উঠতে পারে মানসিক প্রশান্তির শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত। দিনের শুরুতেই আল্লাহর ইবাদতে নিমগ্ন হলে মনেও শান্তি আসে, চিন্তায় আসে পরিপক্বতা, এবং গোটা দিনটাই হয়ে ওঠে আল্লাহমুখী ও আশাবাদী।

তাই আসুন, আমরা সকালের সময়টিকে কেবল ঘুম বা ব্যস্ততার জন্য না রেখে বরং আত্মশুদ্ধির জন্য কাজে লাগাই। ফজরের নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির, দোয়া ও কৃতজ্ঞতার মাধ্যমে দিন শুরু করি। কারণ, যেভাবে দিন শুরু হয়, মনও সেভাবেই গড়ে ওঠে।

সকালের প্রশান্তি এক নীরব দাওয়াত—আল্লাহর পথে ফিরে আসার, নিজের আত্মাকে গঠনের। এই সময়টিকে আমরা যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য উৎসর্গ করি, তাহলে তা আমাদের আত্মিক সফলতার প্রথম ধাপ হয়ে উঠবে। আসুন, সকালের আলোকে ব্যবহার করি ইবাদতের আলোয় আলোকিত হওয়ার জন্য।

-এমএসকে

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...