ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কিত বিষয়গুলো কয়েকটি প্রাচীন আইনের আওতায় পরিচালিত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ১৮৭৮ সালের "Arms Act" এবং ১৯২৪ সালের "Arms Rules"। এই আইনদ্বয়ের অধীনেই দেশের সামরিক ও বেসামরিক নাগরিকদের বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু করা হয়ে থাকে।
আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স পেতে যেসব মানদণ্ড পূরণ করতে হয়
১. বাংলাদেশের বৈধ নাগরিক হতে হবে।
২. জীবনের বাস্তব ঝুঁকি থাকলে, অর্থাৎ কেবলমাত্র আত্মরক্ষার প্রয়োজনেই আবেদন করা যাবে।
৩. বয়সসীমা:‘শর্ট ব্যারেল’ আগ্নেয়াস্ত্রের জন্য বয়স কমপক্ষে ৩০ বছর ও ‘লং ব্যারেল’ আগ্নেয়াস্ত্রের জন্য বয়স কমপক্ষে ২৫ বছর। সর্বোচ্চ বয়স ৭০ বছরের মধ্যে হতে হবে।
৪. আয়কর: বছরে কমপক্ষে দুই লক্ষ টাকার আয়কর প্রদান করতে হবে এবং আয়কর দাতা হিসেবে প্রমাণ দাখিল করতে হবে।
৫. সংখ্যা: একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুটি আগ্নেয়াস্ত্রের জন্য লাইসেন্সের আবেদন করতে পারবেন।
৬. অস্ত্র সংগ্রহের উপায়: অনুমতি পেলে আবেদনকারী অস্ত্র আমদানি করতে পারবেন অথবা কোনো বৈধ ডিলারের কাছ থেকে দেশীয় অস্ত্র কিনতে পারবেন।
লাইসেন্সের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া
যে জেলায় আবেদনকারীর স্থায়ী ঠিকানা, সেখানকার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে লাইসেন্স ফরম সংগ্রহ করতে হবে। এরপর আবেদনটি জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি)-এর কাছে পাঠানো হয়, যারা আবেদনকারীর পটভূমি যাচাই করে একটি রিপোর্ট দেয়। রিপোর্ট সন্তোষজনক হলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনাপত্তিপত্র (NOC) প্রদান করা হলে, তখন জেলা প্রশাসক লাইসেন্স ইস্যু করেন।
আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: বৈধ নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্রের অনুলিপি, আয়কর সনদ/সনদপত্র, ৬ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও নির্ধারিত লাইসেন্স ফি।
অস্ত্র ব্যবহারের নিয়ম
২০১৬ সালের সর্বশেষ আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স প্রদান, নবায়ন ও ব্যবহার নীতিমালা অনুযায়ী, শুধুমাত্র আত্মরক্ষার প্রয়োজনে ব্যক্তিগত আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে, এই আইনে ব্যক্তিগত পর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স প্রদান সাধারণভাবে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
নতুন অস্ত্র কেনার পর মালিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে টেস্ট ফায়ার বা পরীক্ষামূলক গুলি চালাতে পারবেন। এটি নিয়মতান্ত্রিকভাবে নির্ধারিত স্থান ও সময়ে করতে হয়।
