ছবি: সংগৃহীত।।
বিজ্ঞাপন
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর গত জুন মাসে আইপিএলের প্রথম শিরোপার স্বাদ পেয়েছিল বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু (আরসিবি)। তবে সেই শিরোপা জয়ের আনন্দ বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। শিরোপা উৎসবকে ঘিরে বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পদদলিত হয়ে প্রাণ হারান ১১ জন। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য প্রাথমিকভাবে দায়ী করা হয়েছে আইপিএলের নবম চ্যাম্পিয়ন আরসিবিকে। ‘সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল’ (ক্যাট) জানিয়েছে, আরসিবি পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে যথাযথ অনুমতি না নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় হঠাৎ করে উৎসবের ঘোষণা দেয়। ফলে একেবারে অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়ে পুলিশ ও প্রশাসন।
প্রাথমিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনে ট্রাইব্যুনাল উল্লেখ করেছে, তিন থেকে পাঁচ লাখ মানুষের ভিড় সামাল দেওয়ার কোনও পূর্বপ্রস্তুতি ছিল না। মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে এই আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, যা পুলিশের পক্ষে কার্যকর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একেবারেই অপর্যাপ্ত সময়। ট্রাইব্যুনাল একে সরাসরি “উপদ্রব” বলে আখ্যা দিয়েছে এবং বলেছে, “পুলিশকর্মীরাও তো মানুষ, জাদুকর নন। এত কম সময়ের মধ্যে নিরাপত্তার সব বন্দোবস্ত করা তাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না।”
উল্লেখ্য, ৩ জুন আইপিএলের ১৮তম আসরে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরদিনই (৪ জুন) উৎসবের আয়োজন করে আরসিবি। সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্ত, বিশেষ করে বিধান সৌধ ও চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে জড়ো হতে থাকে বিশাল জনতা। হঠাৎ করে সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে পদপিষ্ট হয়ে মারা যান ১১ জন এবং আহত হন বহু মানুষ।
ঘটনার পর থেকেই দায় চাপানোর খেলা শুরু হয়। আরসিবি, কর্নাটক ক্রিকেট সংস্থা এবং কর্নাটক রাজ্য সরকার—একে অপরকে দায়ী করে। ইতোমধ্যে আরসিবির কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম চলছে। পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকেও কয়েকজন সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়। এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে এক পুলিশ সদস্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। সেই শুনানিতেই ট্রাইব্যুনাল স্পষ্টভাবে কোহলিদের দল আরসিবিকে দায়ী করেছে।
এই ঘটনা বেঙ্গালুরুর ইতিহাসে আনন্দ ও শোকের এক অদ্ভুত সমন্বয় তৈরি করে, যেখানে একদিকে ছিল শিরোপা জয়, অন্যদিকে ছিল প্রাণহানির মর্মান্তিক ঘটনা।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...