বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে পরিষদ ভবনে হামলার এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে পরিষদ কার্যালয়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন চেয়ারম্যান রিপন ও প্যানেল চেয়ারম্যান কামাল। এমন সময় ৩০-৩৫ জনের একটি বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার দল পরিষদ ভবনে ঢুকে তাদের টেনে-হিঁচড়ে বাইরে এনে রাস্তায় প্রকাশ্যে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি, চড়-থাপ্পড় মারতে থাকে। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান রিপনের গায়ের জামাও ছিঁড়ে ফেলা হয়।
স্থানীয়দের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে খবর পেয়ে কাঁঠালিয়া থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত দুই কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেয়। ঘটনার পর থেকে চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপন আত্মগোপনে রয়েছেন বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের সূত্রমতে, হামলার নেতৃত্ব দেন শৌলজালিয়া ইউনিয়ন বিএনপির বহিষ্কৃত সভাপতি ও ইউপি সদস্য শামসুল আলম। অভিযোগ রয়েছে, তাঁর নেতৃত্বে ৪০-৫০ জন বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী হামলায় অংশ নেন। রাজনৈতিক বিরোধ ও শত্রুতার জেরেই এই হামলা চালানো হয় বলে জানা গেছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে শামসুল আলম ইউনিয়নে বিএনপির প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। তবে চেয়ারম্যান রিপন তার বিরোধিতায় থাকায় তাকে লক্ষ্য করে ধারাবাহিকভাবে হুমকি ও চাপ প্রয়োগ চলছিল বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
উল্লেখ্য, চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন রিপন শৌলজালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং পরপর তিনবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি সরকার পতনের পরেও স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সমঝোতায় ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে এ ঘটনার পর তার নিরাপত্তা ও দায়িত্ব পালনে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
ঘটনার পর থেকে এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা টহল জোরদার করেছে।
-মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি