ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
দুর্ঘটনার সময় গাড়িটি তিনি নিজেই চালাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন ছোট ভাই আন্দ্রে জোতা। দুজনেই ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
জোতার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ডের জনপ্রিয় ক্রীড়া গণমাধ্যম ‘স্কাই স্পোর্টস’ এবং স্পেনের ‘মার্কা’। স্প্যানিশ বার্তা সংস্থা ইএফই’র উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়, জামোরা প্রদেশের প্যালাসিওস দি সানাব্রিয়া শহরের নিকটবর্তী মহাসড়কে চলন্ত অবস্থায় হঠাৎ তাদের ল্যাম্বরগিনি গাড়ির একটি টায়ার বিস্ফোরিত হয়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি সড়কের বাইরে ছিটকে পড়ে এবং মুহূর্তেই দাউদাউ করে আগুন ধরে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার আগেই পুড়ে মারা যান দিয়েগো ও আন্দ্রে।
মাত্র ১০ দিন আগে দীর্ঘদিনের সঙ্গী রুট কার্ডোসোকে বিয়ে করেছিলেন দিয়েগো জোতা। তাদের ঘরে রয়েছে তিনটি সন্তান। নতুন জীবনের শুরুতে এমন অপ্রত্যাশিত পরিণতি কেবল জোতার পরিবার নয়, স্তব্ধ করে দিয়েছে গোটা ফুটবলবিশ্বকে।
জোতার বয়স হয়েছিল মাত্র ২৮ বছর। সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে দারুণ সময় কাটিয়েছেন এই পর্তুগিজ স্ট্রাইকার। লিভারপুলের হয়ে জিতেছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা। একইসঙ্গে পর্তুগালের হয়ে উয়েফা নেশন্স লিগ জিতে ক্যারিয়ারে দুইটি গুরুত্বপূর্ণ শিরোপা যুক্ত করেছিলেন তিনি।
দুর্ঘটনায় নিহত ছোট ভাই আন্দ্রেও ছিলেন ফুটবলার। পর্তুগালের সেকেন্ড ডিভিশনের এক ক্লাবে খেলতেন তিনি। বয়সে জোতার চেয়ে দুই বছরের ছোট ছিলেন।
২০২০ সালে ইংলিশ ক্লাব উলভস থেকে ৪১ মিলিয়ন ইউরো ট্রান্সফার ফিতে লিভারপুলে যোগ দেন দিয়েগো জোতা। অলরেডদের হয়ে তিনি ১৮২ ম্যাচে করেছেন ৬৫টি গোল। লিভারপুলের হয়ে তিনি এফএ কাপ, কমিউনিটি শিল্ড ও দুটি কারাবাও কাপও জিতেছেন। সর্বশেষ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে আর্নে স্লটের অধীনে বদলি খেলোয়াড় হিসেবেই অধিকাংশ ম্যাচে মাঠে নেমে করেন ৬টি গুরুত্বপূর্ণ গোল।
পর্তুগালের জার্সিতে জাতীয় দলে জোতা খেলেছেন ৪৯টি ম্যাচ। মাঠে তার নৈপুণ্য, গতি ও গোল করার ক্ষমতা তাঁকে বিশ্বের অন্যতম প্রতিভাবান ফরোয়ার্ডদের কাতারে নিয়ে গিয়েছিল।
জোতার আকস্মিক মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ ফুটবল দুনিয়া। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্ত, সতীর্থ ও ক্লাবগুলো শোক প্রকাশ করছে। সবাই বলছেন, “খুব তাড়াতাড়ি চলে গেলে, জোতা!”
এই ঘটনায় লিভারপুল ক্লাবসহ ইউরোপজুড়ে ফুটবল সংগঠনগুলো শোকবার্তা জানিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এটি শুধু একজন ফুটবলারের নয়, একজন দারুণ পিতা, স্বামী ও ভাইয়েরও করুণ বিদায়।