ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, দেশের কিছু অঞ্চলে ডেঙ্গু শনাক্তকরণ কিটসহ চিকিৎসা সরঞ্জামের সংকট দেখা দিয়েছে।
এই সংকটের মুহূর্তে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে চীন। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয় চীনের পাঠানো ১৯ হাজার ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া শনাক্তকরণ কিট। রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে চীনের পক্ষে কিট হস্তান্তর করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স ড. লিউ ইউইন। কিট গ্রহণ করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে ড. লিউ ইউইন বলেন, “বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে চীন সরকার এই কিট সরবরাহ করছে। ভবিষ্যতেও যেকোনো সংকটে বাংলাদেশের পাশে থাকবে চীন।” তিনি আরও জানান, দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তিতেই স্বাস্থ্য খাতসহ নানা ক্ষেত্রে সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান জানান, চীনের কাছে শুধু কিট নয়, গবেষণা সহায়তা এবং রোগ শনাক্তে উন্নত কারিগরি ডিভাইসেরও চাহিদা জানানো হয়েছে। তার ভাষায়, “চীনের প্রযুক্তিগত ডিভাইস রোগ সঠিকভাবে শনাক্ত করতে সক্ষম। আমরা চাই, এই প্রযুক্তিগুলো যেন বাংলাদেশেও সহজলভ্য হয়।”
চীনা দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আরও জানান, বাংলাদেশ চীনের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। সাম্প্রতিক সময়ে প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরের মাধ্যমে এই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় চীন বাংলাদেশে একটি আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের কাজও এগিয়ে নিচ্ছে। এর আগে গত সেপ্টেম্বরে কয়েকজন বাংলাদেশি রোগী চিকিৎসার জন্য চীনের কুনমিং শহরে গিয়েছিলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, “ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি রয়েছে। যেসব এলাকায় রেডজোন হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে, সেসব এলাকায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সেইসঙ্গে সচেতনতামূলক প্রচারও বাড়ানো হয়েছে।”
তিনি আরও পরামর্শ দেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার আগেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে এবং সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতন থাকতে হবে।