বিজ্ঞাপন
রোববার (৬ জুলাই) সকাল ৭টার দিকে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে, গত মঙ্গলবার (১ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জগদানন্দ গ্রামের কামাল কোম্পানির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
হোসনে আরা বেগম কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ কামাল খাঁন ওরফে কামাল কোম্পানির মা।
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার সময় হোসনে আরা বেগম ঘরে একা ছিলেন। পরিবারের অন্য সদস্যরা ঘরের বাইরে ছিলেন। সন্ধ্যায় দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে তাঁকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় তিনটি কোপ দেয়। এরপর তাঁর দুই কান ছিঁড়ে শরীরে থাকা প্রায় ৪ ভরি স্বর্ণালংকার ও ঘরের বিছানার নিচে রাখা সাড়ে তিন লাখ টাকা লুট করে নেয়।
পরে নিহতের নাতি সালমান ঘরে এসে দাদিকে রক্তাক্ত অবস্থায় অচেতন পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার সকালে তিনি মারা যান।
নিহতের ছেলে মাইনউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন,
“এটি চুরির ঘটনা নয়, পরিকল্পিত ডাকাতি।’’
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া বলেন,
“নিহতের ছেলে মাইনউদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে সব কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে নিহত হোসনে আরা বেগম নিয়মিত স্বর্ণালংকার ব্যবহার করতেন। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা তাঁকে চিনে ফেলায় এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এটি ডাকাতির ঘটনা নয়, একাধিক ব্যক্তি জড়িত ছিল। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে।
-নোয়াখালী প্রতিনিধি, গিয়াস রনি।