বিজ্ঞাপন
শনিবার (৫ জুলাই) রাত ৯টার দিকে নওগাঁ-১৬ বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহটি বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে, গত বুধবার (২ জুলাই) দিবাগত রাতে ২২৮ নম্বর সীমান্ত পিলার থেকে প্রায় ৫০০ গজ ভারতের ভেতরে আগ্রাবাদ এলাকায় বিএসএফের গুলিতে ইব্রাহিম নিহত হন। নিহত ইব্রাহিম (৪০) সাপাহার উপজেলার রোদগ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে।
কি ঘটেছিল?
স্থানীয়রা ও বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাতে মহিষ আনার উদ্দেশ্যে পোরশা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের আগ্রাবাদ এলাকায় যান ইব্রাহিম। ভোরে দেশে ফেরার সময় ভারতের আগ্রাবাদ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পরে বিএসএফ মরদেহ নিয়ে যায়। প্রথম দিকে বিএসএফ গুলি করে হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করে। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে বারবার যোগাযোগ, পতাকা বৈঠক ও চিঠিপত্র আদান-প্রদানের পর দুই দিন পর বিএসএফ ঘটনা স্বীকার করে।
শেষ পর্যন্ত, শনিবার রাতে বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
কর্তৃপক্ষ কী বলছে?
নওগাঁ-১৬ বিজিবির নিতপুর ক্যাম্প ইনচার্জ সুবেদার মাহফুজুর রহমান বলেন,
‘প্রথমে বিএসএফ গুলি করে হত্যার ঘটনা অস্বীকার করলেও, বারবার যোগাযোগ ও চিঠিপত্রের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগের পর তারা সত্যতা স্বীকার করে মরদেহ ফেরত দিয়েছে।’
সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আজিজ বলেন,
‘যেহেতু ঘটনাটি ভারতের অভ্যন্তরে ঘটেছে, তাই সেখানেই ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। পরে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
-মোঃ মিজানুর রহমান, নওগাঁ