Logo Logo
বিশ্ব

প্রবাসীদের সম্পত্তি কেনার সুয়োগ দিচ্ছে সৌদি আরব


Splash Image

সৌদি আরবে বসবাসরত প্রবাসীদের জন্য আসছে এক যুগান্তকারী সুযোগ। দেশটির সরকার ঘোষণা দিয়েছে, ২০২৬ সাল থেকে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় বিদেশি নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানগুলো সম্পত্তি কেনার অনুমতি পাবে।


বিজ্ঞাপন


এই সিদ্ধান্তকে সৌদি অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করার কৌশলের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

সম্প্রতি মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সংক্রান্ত একটি নতুন আইন অনুমোদিত হয়েছে। প্রথম ধাপে রিয়াদ ও জেদ্দার মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও আরও কিছু নির্ধারিত অঞ্চলকে এই সুবিধার আওতায় আনা হবে, যেগুলোর তালিকা সরকার পরবর্তীতে প্রকাশ করবে।

তবে ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিকভাবে স্পর্শকাতর শহর মক্কা ও মদিনার ক্ষেত্রে থাকবে বিশেষ বিধিনিষেধ। এসব এলাকায় সম্পত্তি কিনতে হলে বিদেশিদের জন্য লাগবে অতিরিক্ত অনুমোদন।

নতুন আইনটি কার্যকর হবে ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে। এর আগে সরকার ‘ইস্তিতা’ নামে একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম চালু করেছে, যেখানে সম্পত্তি সংক্রান্ত নিয়মাবলি, অনুমোদিত এলাকার তালিকা এবং জনমত গ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। এই প্রক্রিয়া চলবে টানা ১৮০ দিন।

এই আইনের আওতায় বিদেশি ব্যক্তি ও কোম্পানিগুলো আবাসিক ও বাণিজ্যিক খাতে বিনিয়োগ করতে পারবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এতে শুধু প্রবাসীদের জন্য নয়, বরং পুরো সৌদি অর্থনীতির জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে। আবাসন ও রিয়েল এস্টেট খাতে বাড়বে কর্মসংস্থান ও উন্নয়ন সম্ভাবনা।

সৌদি সরকারের ‘ভিশন ২০৩০’ প্রকল্পের একটি বড় অংশ হলো—বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করা এবং তেলনির্ভরতা থেকে বেরিয়ে বহুমুখী অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাওয়া। রিয়াদ, জেদ্দা এবং নিওমসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং বাণিজ্যিক সুযোগ তৈরির লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তবে সৌদি নাগরিকদের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি সমান গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে বলে সরকার জানায়। ফলে প্রবাসীদের জন্য এটি যেমন নতুন বিনিয়োগের সুযোগ, তেমনি দেশটির অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক কাঠামোর সুরক্ষাও নিশ্চিত করা হবে।

প্রবাসীদের এখনই ‘ইস্তিতা’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে নিয়মিত তথ্য অনুসরণ এবং আসন্ন নীতিমালার খোঁজ রাখা জরুরি। ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ সম্পূর্ণ নীতিমালা ও অঞ্চলভিত্তিক নির্দেশনা প্রকাশিত হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, দুবাই, দোহা ও আবু ধাবির মতো শহরগুলোর সাফল্য সৌদি আরবের জন্য দৃষ্টান্ত হতে পারে। এই পথ অনুসরণ করলে রিয়াদ ও জেদ্দা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম বিনিয়োগ কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে—এমনটাই আশা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

আরও পড়ুন

জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলন
জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলন
নড়াইলে জেলা বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ
নড়াইলে জেলা বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ