ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
ফলে এসব বিদ্যালয়ের পাসের হার দাঁড়িয়েছে শতভাগ শূন্যতে, যা জেলার শিক্ষা ব্যবস্থার মান নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) প্রকাশিত বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে। ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, কুলকাঠি ইউনিয়নের দেলদুয়ার মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৩ জন, রানাপাশা ইউনিয়নের ভেরনবাড়িয়া সিএসইউ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ৭ জন, মাটিভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ১৭ জন এবং দপদপিয়া ইউনিয়নের জুরকাঠি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় থেকে ১১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। তবে চারটি বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীই উত্তীর্ণ হতে পারেনি।
এ বিষয়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ইউনুস আলী সিদ্দিকী বলেন,
“নলছিটির চারটি প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি। কেন এমনটি হয়েছে তা জানার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। পাশাপাশি শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষক সংকট, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের দুর্বলতা, শিক্ষার্থী উপস্থিতি ও শিক্ষকের দায়িত্বহীনতা – এসবই এমন শূন্য পাসের জন্য দায়ী। স্থানীয়রা দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম ঢেলে সাজানোর দাবি জানিয়েছেন।
-মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি