বিজ্ঞাপন
বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ ও রপ্তানি আয় বেড়ে যাওয়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বাড়ছে। ফলে গত এক সপ্তাহ ধরে মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মান শক্তিশালী হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে বিনিময় হারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই নিলাম কার্যক্রম চালু করে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, এদিন প্রতি ডলারের দাম ১২১ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা বাজারে অধিকাংশ ব্যাংকের দেওয়া প্রায় ১২০ টাকা দামের চেয়ে বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, “টাকার বিপরীতে ডলারের দাম স্থির রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক নিলামের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ডলার কিনেছে।”
তিনি আরও বলেন, “যদি ভবিষ্যতে ডলারের বিনিময় হার টাকার তুলনায় বেড়ে যায়, তাহলে বাংলাদেশ ব্যাংক একইভাবে নিলামের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি করবে।”
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অবস্থান পরিষ্কার করে তিনি যোগ করেন, “টাকার বিপরীতে ডলারের বিনিময় হার যেন স্থিতিশীল থাকে, সেটা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ ব্যাংক যেকোনো সময় বাজারে হস্তক্ষেপ করতে পারে।”
অন্যদিকে, একটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, রোববার ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২০ টাকা। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রয়মূল্য ১২১ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করায় বাজারে এই হার বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।
উল্লেখ্য, এক সপ্তাহ আগে প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২৩ টাকারও বেশি, যা এখন কমে এসেছে। এ অবস্থাকে ইতিবাচক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, সঠিক সময়ে বাজারে হস্তক্ষেপ এবং মুদ্রানীতি বাস্তবায়নের কারণে ডলার সংকট কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে আসছে।