ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
সাবেক ক্রিকেটার এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের প্রাক্তন স্ত্রী রেহাম মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) করাচি প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ‘পাকিস্তান রিপাবলিক পার্টি’ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক দলের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
রেহাম খান জানান, এই দল গঠনের মূল উদ্দেশ্য হলো—পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের কণ্ঠস্বর তুলে ধরা এবং শাসক শ্রেণিকে জবাবদিহির আওতায় আনা। সংবাদ সম্মেলনে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “এটা কেবল একটি রাজনৈতিক দল নয়, বরং এটি একটি আন্দোলন, যা জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে চায়।”
তিনি বলেন, “২০১২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের অভিজ্ঞতায় আমি দেখেছি, এখানকার জনগণ এখনো বিশুদ্ধ পানি, মৌলিক চিকিৎসা ও শিক্ষা থেকে বঞ্চিত। এ বাস্তবতা আর মেনে নেওয়া যায় না। আমরা পরিবর্তন আনতেই এসেছি।”
প্রাক্তন স্বামীর দিকেও ইঙ্গিত করে রেহাম বলেন, “আমি অতীতে একজন ব্যক্তির জন্য একটি দলে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু এই উদ্যোগ আমার নিজের—আমার শর্তে, আমার জায়গা থেকে। এবার আমার নিজস্ব অবস্থান থেকেই রাজনীতিতে প্রবেশ করছি।”
রেহাম খান জোর দিয়ে জানান, তার দল কোনো ক্ষমতার দৌড়ে নেই, বরং জনগণের বাস্তব সমস্যা ও চাহিদার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বলেন, “সংসদে সত্যিকারের জনগণের প্রতিফলন থাকা উচিত। প্রতিটি শ্রেণির প্রতিনিধি যেন সেই শ্রেণি থেকেই উঠে আসে—এটাই আমাদের লক্ষ্য।”
তিনি পাকিস্তানের প্রচলিত বংশানুক্রমিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার কঠোর সমালোচনা করে বলেন, “বর্তমান সংসদে মাত্র পাঁচটি পরিবার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। আমরা সেই ধারা ভাঙতে চাই। আমাদের দল কোনো প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় তৈরি হয়নি। কেউ চারটি আসন থেকে নির্বাচন করবে না। রাজনীতি যেন ব্যক্তিগত সাম্রাজ্য গঠনের অস্ত্র না হয়।”
দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘পাকিস্তান রিপাবলিক পার্টি’ পাকিস্তানের সংবিধানিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী এবং শিগগিরই দলীয় ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনের একদম শেষে রেহাম খান বলেন, “আমি এসেছি, যেন সব দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদের জায়গা নিতে পারি।”
রেহাম খানের এই রাজনৈতিক অভিষেক পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্ক ও সম্ভাবনার সূচনা করল, যা দেশটির আগামী রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।