বিজ্ঞাপন
এ সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা মোতায়েন করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে কয়েকজনকে। একইসঙ্গে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহকে নিরাপত্তার স্বার্থে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেয় পুলিশ।
বৃষ্টির সুযোগে হামলা
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, বৃষ্টি চলাকালে সমাবেশস্থলে নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য সংখ্যা কমে গেলে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের একটি অংশ হেলমেট পরে মঞ্চে হামলা চালায়। এ সময় চেয়ার, টেবিল ও অন্যান্য আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়।
পুলিশের দাবি, হামলাকারীরা পাশের খালপাড় থেকে হঠাৎ এসে আক্রমণ চালায়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে আছে।
দিনভর সহিংসতা
এদিন সকাল থেকেই পদযাত্রা বানচালের জন্য একাধিক সহিংস ঘটনা ঘটে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুর এলাকায় ছাত্রলীগের কর্মীরা পুলিশের একটি গাড়িতে আগুন ও ভাঙচুর চালায়। এছাড়া গান্ধিয়াশুর এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) গাড়িবহরে হামলার ঘটনাও ঘটে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মো. সাজেদুর রহমান বলেন,
"নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালের নেতৃত্বে উলপুরে পুলিশের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।"
এদিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম রকিবুল হাসান জানান,
"গান্ধিয়াশুর এলাকায় ইউএনওর গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।"
বর্তমানে সমাবেশস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অবস্থান করছে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।