Logo Logo
রাজনীতি

জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে : বিএনপি


Splash Image

আগামী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করতে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে—এমন অভিযোগ করেছে বিএনপি।


বিজ্ঞাপন


দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিষয়ে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।

বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এতে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন অংশ নেন।

সভা শেষে দেওয়া বিবৃতিতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি, গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে হামলা, প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণ এবং বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন—সবকিছু মিলিয়ে এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ, যার উদ্দেশ্য আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে বানচাল করা।”

তিনি বলেন, “গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির সভায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্ত ও সমর্থকদের হামলায় চারজন নিহত হওয়ার ঘটনায় বিএনপি গভীর ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করছে। এই হামলা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে নস্যাৎ করার এক সুস্পষ্ট ষড়যন্ত্র। এর জেরে সরকার ১৪৪ ধারা ও কারফিউ জারি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ব্যর্থ প্রয়াস চালায়। যা একটি ভয়ংকর রাজনৈতিক নীলনকশারই অংশ।”

স্থায়ী কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়, “ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী জাতীয় নাগরিক পার্টির ওপর হামলা সরকারের পরিকল্পিত সন্ত্রাসেরই অংশ। সরকার জনগণের কণ্ঠ রোধে আবারও দমন-পীড়নের পথ বেছে নিচ্ছে। ফলে দেশে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ দিন দিন বিনষ্ট হচ্ছে।”

বৈঠকে নেতারা আশঙ্কা প্রকাশ করেন, বিরোধী দলগুলোর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে রাজনৈতিক সঙ্কট আরও ঘনীভূত করা হচ্ছে। তারা বলেন, “গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিকে সুযোগ করে না দিতে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে তাদের কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।”

বৈঠকে ‘জাতীয় ঐকমত্য কমিশন’-এর অগ্রগতির বিষয়ে সালাহ উদ্দিন আহমেদ বিস্তারিত তুলে ধরেন। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, কমিশন গঠনের বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে এবং এ বিষয়ে আজ রাতেই পরবর্তী বৈঠক হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, “দেশে মবোক্রেসি, হত্যা, ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি বেড়েই চলেছে। অথচ সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্তরা শুধু কথার ফুলঝুরি ছড়াচ্ছেন—কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর অযোগ্যতা ও নির্লিপ্ততা গভীর উদ্বেগের বিষয়।”

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, অবিলম্বে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারকে বাধ্য করতে বিরোধী জোটের আন্দোলন আরও তীব্র করা হবে।

সম্প্রতি মিটফোর্ডে সংঘটিত নৃশংস হত্যাকাণ্ডে বিএনপিকে ‘সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে’ জড়ানো এবং দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে অশালীন বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় সভায়। মির্জা ফখরুল বলেন, “বিশেষ করে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং তরুণ জনপ্রিয় নেতা তারেক রহমান সম্পর্কে কিছু রাজনৈতিক দলের শিষ্টাচারবর্জিত মন্তব্য জাতিকে স্তম্ভিত করেছে।”

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, এসব অপপ্রচার ও রাজনৈতিক শিষ্টাচারবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন জোরদার করা হবে।

আরও পড়ুন

২০২৬ বিশ্বকাপের আগে বড় পরিবর্তন, পাল্টে যাচ্ছে পেনাল্টির নিয়ম!
২০২৬ বিশ্বকাপের আগে বড় পরিবর্তন, পাল্টে যাচ্ছে পেনাল্টির নিয়ম!
চোখের জল মুছতে মুছতে ছেলে হত্যার বিচার চান আসিফের মা
চোখের জল মুছতে মুছতে ছেলে হত্যার বিচার চান আসিফের মা