বিজ্ঞাপন
সিরিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণকারী যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে নিহতের সংখ্যা ৩০০ বলা হলেও নতুন হিসাব অনুযায়ী প্রাণহানির সংখ্যা আরও বেড়েছে।
পর্যবেক্ষণ সংস্থাটি জানিয়েছে, রোববার থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৭৯ জন দ্রুজ যোদ্ধা এবং ৫৫ জন সাধারণ মানুষ। নিহত সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে ২৭ জনকে সরাসরি গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে সংস্থাটির দাবি। এসব গুলির দায় পড়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদস্যদের ওপর। সংঘর্ষে মন্ত্রণালয় দুটির ১৮৯ সদস্য এবং আরও ১৮ জন বেদুইন যোদ্ধাও প্রাণ হারিয়েছেন।
নিহতদের তালিকায় রয়েছেন একজন মিডিয়া কর্মীও। তার নাম হাসান আল-যাবি। তিনি সুবাইদায় কর্মরত ছিলেন এবং সংঘর্ষ চলাকালে পেশাগত দায়িত্ব পালন করছিলেন বলে জানা গেছে।
সিরিয়ান সাংবাদিক ইউনিয়ন এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে যে, হাসান আল-যাবি ‘অবৈধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর’ গুলিতে নিহত হয়েছেন। যদিও তিনি কোন সংবাদমাধ্যমের হয়ে কাজ করতেন তা নির্দিষ্ট করে বলা হয়নি।
এদিকে, পর্যবেক্ষণ সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, দক্ষিণ সিরিয়ায় ইসরাইলের চালানো হামলায় অতিরিক্ত আরও ১৫ জন প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদস্য নিহত হয়েছেন। সংগঠনের দাবি, তারা দেশটির অভ্যন্তরে অবস্থিত নির্ভরযোগ্য উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে এইসব তথ্য প্রকাশ করেছে।
দক্ষিণ সিরিয়ায় চলমান এই সংঘর্ষ দেশটির সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে আরও উদ্বেগজনক করে তুলেছে। বিশেষ করে সরকারপন্থী বাহিনী, বিভিন্ন উপজাতি গোষ্ঠী এবং বিদেশি হস্তক্ষেপ—সব মিলিয়ে অঞ্চলটিতে সহিংসতা দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।