বিজ্ঞাপন
সভাটি সঞ্চালনা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক (অঃ দাঃ) ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ গোলাম কবির।
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান, জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত দেব নাথ, গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজের পরিচালক ডাঃ প্রেমানন্দ মন্ডল, সিভিল সার্জন ডাঃ আবু সাঈদ ফারুক, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ জীবিতেষ বিশ্বাস, সরকারি কলেজের অধ্যাপক ওহিদ আলম লস্কর, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সেখ বেনজীর আহমেদ, গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী স্বর্ণেন্দু শেখর মন্ডল, এলজিইডি'র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ এহসানুল হকসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তারা। এছাড়াও পাঁচ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সমাজসেবা, মহিলা বিষয়ক, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানি ব্যবস্থাপনা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারাও অংশ নেন।
সভায় জেলার সার্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয় এবং চলমান প্রকল্পগুলোর প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা চিহ্নিত করে সমাধানের প্রস্তাব দেওয়া হয়। শিক্ষা খাতের মানোন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, নারী ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, জলবায়ু সহনশীল অবকাঠামো নির্মাণ, কৃষি ও পানি ব্যবস্থাপনার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতের উন্নয়নকল্পে দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, “উন্নয়নের মূল লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন। সরকারের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমকে টেকসই করতে হলে মাঠপর্যায়ে প্রতিটি দপ্তরের মধ্যে সমন্বয় ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।” তিনি প্রকল্প বাস্তবায়নে সময়নিষ্ঠা, স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। সভা শেষে তিনি সকল অংশগ্রহণকারীকে ধন্যবাদ জানান এবং উন্নয়ন সহযোগীদের আন্তরিকতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
সভায় বক্তব্যে জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, “উন্নয়ন সফল করতে হলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সর্বদা উন্নয়ন প্রকল্প এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার রাখা, অপরাধ দমন ও সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব পালন করে আসছে।” তিনি সকল অংশীজনকে দায়িত্বশীলভাবে কাজ করার আহ্বান জানান এবং ভবিষ্যতেও সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
অন্যান্য সদস্যরা সভায় মতামত প্রদানকালে বলেন, নিয়মিত সমন্বয় সভা হলে প্রশাসন, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও সাধারণ মানুষের মধ্যে এক কার্যকর সেতুবন্ধন তৈরি হবে। এতে জেলার উন্নয়ন কার্যক্রম আরও গতিশীল ও ফলপ্রসূ হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
-কে এম সাইফুর রহমান, প্রতিনিধি।