ছবি: সংগৃহীত।।
বিজ্ঞাপন
জাতীয় দলের হয়ে একসঙ্গে খেলার স্বপ্ন থাকলেও, আফগানিস্তানের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবি ও তাঁর ছেলে হাসান ইসাখিল প্রথমবার মুখোমুখি হলেন প্রতিপক্ষ হিসেবে। আর সেই সাক্ষাৎ মুহূর্তেই রূপ নেয় এক আবেগঘন নাটকে। কাবুল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে চলমান শাপাগিজা ক্রিকেট লিগে আমো শার্কস ও এমআইএস আইনাক নাইটসের মধ্যকার ম্যাচে এমন এক দৃশ্যের জন্ম হয়, যা এখন ভাইরাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
প্রথম ইনিংসের নবম ওভারে বল করতে আসেন মোহাম্মদ নবি। ব্যাটিং স্ট্রাইকে তখন তাঁর ১৮ বছর বয়সী ছেলে হাসান ইসাখিল, যিনি তখন ২৩ বলে ৩৪ রান করে খেলছিলেন। বাবার করা প্রথম ডেলিভারিটিই ছিল গুড লেংথ, কিন্তু দারুণ আত্মবিশ্বাসে বলটিকে সীমানার বাইরে পাঠিয়ে দেন হাসান। বিশাল ছক্কাটি দেখে কিছুটা হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকেন নবি। অন্যদিকে ছেলের মুখে তখন বিজয়ী হাসি। সতীর্থদের সঙ্গে সেলিব্রেট করতে করতালিতে মেতে ওঠার পাশাপাশি হাসান বাবার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হাসি উপহার দেন। ধারাভাষ্যকারদের ভাষায়, ‘বাবাকে স্বাগত জানানোর সবচেয়ে চমৎকার উপায়’ ছিল সেটি।
ম্যাচ শেষে অবশ্য জয়ের হাসি হেসেছেন মোহাম্মদ নবি ও তাঁর দল এমআইএস আইনাক নাইটস। আমো শার্কস প্রথমে ব্যাট করে হাসানের ঝলমলে ৫২ রানের ইনিংসে ভর করে তোলে ১৬৩ রান। জবাবে, ১৮ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয় নাইটস।
তবে ম্যাচের ফল নয়, সমগ্র ক্রিকেটজগৎ যেন আবেগে ভেসেছে বাবা-ছেলের এই এক অভূতপূর্ব সাক্ষাতে। ফেব্রুয়ারিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলা নবি আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি স্বপ্ন দেখেন একদিন ছেলের সঙ্গে জাতীয় দলে খেলবেন। তিনি বলেছিলেন, “এটা আমার স্বপ্ন। আশা করছি, সেই স্বপ্ন পূরণ করব। সে খুব পরিশ্রমী। আমি চাই সে নিজের লক্ষ্য ঠিক করুক এবং শতরানের ইনিংস খেলে বড় মঞ্চে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করুক।”
হাসান ইতোমধ্যে আফগানিস্তানের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলেছেন। বাবার ছায়ায় বেড়ে ওঠা এ তরুণ ক্রিকেটার যে প্রতিশ্রুতিশীল, তার প্রমাণ মিলছে ব্যাটিং পারফরম্যান্সেই। আর বাবার প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে তিনি যেন জানিয়ে দিলেন—ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ আফগানিস্তানে নিরাপদ হাতেই আছে।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...