ছবি: সংগৃহীত।।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির ঐতিহ্যবাহী ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ (এনসিএল)-কে আরও প্রতিযোগিতামূলক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন করতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। দীর্ঘদিন পর আবারও এনসিএলে বিদেশি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বোর্ড। চলতি বছর ১৫ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এনসিএল অনুষ্ঠিত হবে। জানা গেছে, প্রতিটি দলে একজন করে বিদেশি খেলোয়াড় অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া এখনো অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এক সময় এই নিয়ম চালু থাকলেও তা অনেক দিন বন্ধ ছিল। বিসিবির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগের এই নিয়ম স্থানীয় ক্রিকেটারদের বিশেষ করে ব্যাটারদের উন্নয়নে সহায়ক হয়েছিল, বিশেষত গ্রাসি উইকেটে অভিজ্ঞ বিদেশি পেসারদের মুখোমুখি হয়ে।
এনসিএলে ঘাসযুক্ত পিচে খেলা এখন নিয়মিত বিষয় হওয়ায়, দক্ষ বিদেশি বোলারদের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পেলে দেশি ব্যাটারদের স্কিল ডেভেলপমেন্টে বড় অবদান রাখতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে বিদেশি খেলোয়াড় আনতে চ্যালেঞ্জও আছে। কারণ, একই সময় ভারতের রঞ্জি ট্রফি এবং পাকিস্তানের কায়েদ-ই-আজম ট্রফি চলবে, ফলে ঐ অঞ্চলের খেলোয়াড় পাওয়া কঠিন হতে পারে। বিকল্প হিসেবে বিসিবি অন্যান্য দেশের খেলোয়াড়দের দিকে নজর দিচ্ছে।
এদিকে বিসিবির প্রোগ্রাম প্রধান মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানিয়েছেন, এবারের ঘরোয়া মৌসুম শুরু হবে ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য এনসিএল টি-টোয়েন্টি দিয়ে। এবার তিনটি ভেন্যুতে এই আসর অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে গতবার সময় স্বল্পতার কারণে খেলা হয়েছিল একটি ভেন্যুতে। ডিসেম্বরের ৪ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত হবে বিসিএল-এর ৫০ ওভারের সংস্করণ, যা ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক হবে। তবে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ থাকবে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় বিসিএল-এর চার দিনের আসরে। এই আসরে বিদেশি একটি দলকেও আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হিসেবে ভাবা হচ্ছে আফগানিস্তানের ‘এ’ দল বা হাই পারফরম্যান্স ইউনিটকে।
বিসিবির এই উদ্যোগগুলোর মূল লক্ষ্য হলো দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটকে আন্তর্জাতিক মানের প্রতিযোগিতায় রূপান্তরিত করা এবং খেলোয়াড়দের আরও বেশি ম্যাচ অভিজ্ঞতা ও উন্নত প্রস্তুতির সুযোগ করে দেওয়া। এসব পরিকল্পনা নিঃসন্দেহে দেশের ক্রিকেটভক্তদের নতুন করে আশাবাদী করে তুলেছে।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...