ছবি: সংগৃহীত।।
বিজ্ঞাপন
২০২৬ সালে প্রথমবারের মতো নারী এশিয়ান কাপে অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। আজ অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বের ড্র, যেখানে ‘বি’ গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। এই গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল দল চীন (৯ বার চ্যাম্পিয়ন), দুইবারের চ্যাম্পিয়ন উত্তর কোরিয়া এবং মধ্য এশিয়ার শক্তিশালী দল উজবেকিস্তান।
আগামী ৩ মার্চ ওয়েস্টার্ন সিডনি স্টেডিয়ামে চীনের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের এশিয়ান কাপ অভিযান। ৬ মার্চ একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ৯ মার্চ পার্থ রেকটাঙ্গুলার স্টেডিয়ামে উজবেকিস্তানের মুখোমুখি হবে গোলাম রব্বানী ছোটনের শিষ্যরা।
চীন ও উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে এই প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ নারী দল। অন্যদিকে উজবেকিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র সাক্ষাৎ হয়েছিল ২০১১ সালে ঢাকায়, যেখানে ৩-০ গোলে পরাজিত হয়েছিল লাল-সবুজের মেয়েরা। তাই ইতিহাস ও পরিসংখ্যানের বিচারে কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য।
তবে আশার আলো রয়েছে। গ্রুপ পর্বে শীর্ষ দুইয়ে না থেকেও কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার সুযোগ থাকবে। তিন গ্রুপের মধ্যে সবচেয়ে ভালো পারফর্ম করা দুটি তৃতীয় দলও জায়গা পাবে শেষ আটে। কোয়ার্টার ফাইনাল শুরু হবে ১৩ মার্চ, সেমিফাইনাল ১৭ ও ১৮ মার্চ এবং ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ২১ মার্চ, অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে।
এই আসরের শীর্ষ ছয় দল সরাসরি সুযোগ পাবে ২০২৭ নারী বিশ্বকাপে। সেমিফাইনালিস্ট চার দলের সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনালে হারা বাকি চার দলের মধ্যে দুটি দল প্লে-ইন খেলে পাবে বিশ্বকাপে যাওয়ার টিকিট। প্লে-ইনে পরাজিত দল দুটি আন্তমহাদেশীয় প্লে-অফের মাধ্যমে বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার আরেকটি সুযোগ পাবে। এ ছাড়া শেষ আটের দলগুলো সুযোগ পাবে ২০২৮ অলিম্পিকের বাছাইপর্বে অংশ নেওয়ার।
প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের জন্য এই টুর্নামেন্ট হতে পারে অভিজ্ঞতা অর্জনের সুবর্ণ মঞ্চ। কঠিন গ্রুপে থাকলেও লড়াই করে নিজেদের প্রমাণের সুযোগ পাবে সাবিনা-কৃষ্ণারা।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...