ছবি: সংগৃহীত।।
বিজ্ঞাপন
বহু নাটকীয়তা ও জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে চূড়ান্ত হয়েছে এশিয়া কাপ ২০২৫-এর সূচি। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে শুরু হতে যাচ্ছে আট দলের এই প্রতিযোগিতা, যার পর্দা নামবে ২৮ সেপ্টেম্বর ফাইনাল ম্যাচের মধ্য দিয়ে। এবারের আসরে 'বি' গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও হংকং। অপরদিকে 'এ' গ্রুপে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান, স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমান।
গ্রুপ পর্বে প্রতিটি দল তিনটি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, বাংলাদেশ ১১ সেপ্টেম্বর হংকংয়ের বিপক্ষে নিজেদের অভিযান শুরু করবে। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এবং ১৬ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে টাইগাররা।
তুলনামূলকভাবে কঠিন গ্রুপে পড়লেও ফাইনালে খেলার ব্যাপারে আশাবাদী জাতীয় দলের ডানহাতি পেসার খালেদ আহমেদ। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “দেখেন, আমি সব মিলিয়ে বলব যে আমার বিশ্বাস আমরা এশিয়া কাপের ফাইনাল খেলার মতো দল। আমরা যে গ্রুপে আছি, সেখান থেকে দুইটা-তিনটা ম্যাচ জিততে পারলে ফাইনাল খেলব।”
বাংলাদেশের পেস বোলিং ইউনিটে বর্তমান সময়ে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলছে। তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম সাকিব, হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা ও শরিফুল ইসলামের মতো প্রতিভাবান পেসারদের মাঝে নিজের জায়গা ধরে রাখতে লড়াই চালিয়ে যেতে হয় খালেদকে। তবে এই প্রতিযোগিতাকে তিনি ইতিবাচকভাবেই দেখছেন।
খালেদ বলেন, “অবশ্যই প্রতিযোগিতা থাকা ভালো—এটা যে কোনো দেশের জন্যই ইতিবাচক। আপনি যখন প্রতিযোগিতার মধ্যে থাকবেন, তখন কাজ করার আগ্রহ আরও বাড়ে। আমি আমার ফিটনেস আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি যাতে অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারি। এটা আমাকে অনুপ্রাণিত করে। আমি যদি পিছিয়ে যাই, তাহলে অনেক পিছিয়ে পড়ব। তাই আমার চেষ্টা থাকে সব সময় এগিয়ে থাকার।”
পেসারদের এই আত্মবিশ্বাস ও দলগত প্রস্তুতি দেখে আশা করা যায়, এশিয়া কাপে ভালো কিছু উপহার দিতে পারে বাংলাদেশ। এখন অপেক্ষা মাঠের লড়াই শুরুর।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...