ছবি- সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
সুরা ফাতিহা ও সুরা বাকারার প্রথম অংশ নিয়ে গঠিত এই মোজাইকটি তৈরি করতে ব্যবহার করা হয়েছে ১০ লাখেরও বেশি সিরামিক টুকরো। শিল্পকর্মটির আয়তন ৭৬.৬৭ বর্গমিটার। এটি অনুপ্রাণিত হয়েছে বিখ্যাত উসমানি ক্যালিগ্রাফার মুস্তাফা ঢুল-ফিকারের হাতে ১৬৫৬ সালে লেখা এক ঐতিহাসিক কুরআনের পাণ্ডুলিপি থেকে।
এই ব্যতিক্রমধর্মী মোজাইক প্রদর্শিত হচ্ছে হোলি কুরআন মিউজিয়ামে, যা সৌদি আরবের প্রথম একক কুরআনভিত্তিক প্রদর্শনী। মক্কার মাউন্ট হিরার পাদদেশে অবস্থিত এই মিউজিয়ামটি কুরআনের ইতিহাস, অনুবাদ, শিল্প ও শিক্ষার দিক তুলে ধরার জন্য গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে রয়েছে ইন্টারেকটিভ গ্যালারি ও ভার্চুয়াল অভিজ্ঞতা, যা দর্শকদের একটি আধুনিক ও তথ্যবহুল কুরআনিক ভ্রমণে নিয়ে যায়।
মিউজিয়ামটির তত্ত্বাবধানে রয়েছে কিং সালমান কমপ্লেক্স ফর দ্য প্রিন্টিং অব দ্য হোলি কুরআন। এই সংস্থাটি এর আগে বিশ্বের সবচেয়ে বড় কুরআন এবং সবচেয়ে বড় কুরআন স্ট্যান্ড তৈরির মাধ্যমে গিনেস রেকর্ড অর্জন করেছে।
প্রদর্শনীর আয়োজকরা জানান, “এ ধরনের শিল্পকর্ম ইসলামী ঐতিহ্য, জ্ঞান ও নান্দনিকতা বিশ্বদরবারে তুলে ধরছে। একইসঙ্গে, এটি বিশ্বব্যাপী ইসলামের শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে একটি অনন্য মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে।”
এই উদ্যোগ শুধু রেকর্ড নয়, বরং সংস্কৃতি ও বিশ্বাসের এক গভীর প্রতিফলন হিসেবেও বিবেচিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
- এমকে
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...