বিজ্ঞাপন
ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ৯ জুলাই। রাতে ক্যাফেতে প্রথমবার গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এরপরও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার আগেই আবারও হামলা হয়, এইবার অন্তত ২৫ রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। আশার বিষয়, কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্যরা সরাসরি সালমান খানসহ বলিউডের অন্য তারকাদের ওপর প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। গ্যাংয়ের এক শীর্ষ সদস্য গুরপ্রীত সিং ওরফে গোল্ডি ধিলন এক অডিও বার্তায় দাবি করেন, সালমান খান এবং তার সঙ্গে কপিল শর্মার ঘনিষ্ঠতার কারণেই ক্যাফেতে গুলি চালানো হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘পরেরবার সোজা বুকে গুলি করা হবে।’
এই ঘটনার পর মুম্বাই পুলিশ কপিল শর্মার বাড়ি ও কানাডার ক্যাফেতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে হামলার কারণ উদঘাটনের জন্য।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টাইমসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বলিউড তারকাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা ও প্রাণনাশের হুমকি নিয়ে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির একাংশ ক্ষিপ্ত। এই পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য ইন্ডিয়া সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে।
সংগঠনটির দাবি, সাম্প্রতিক সময়ে সালমান খান, বাবা সিদ্দিকি ও সাইফ আলি খানের ওপর হামলার পেছনে অনেকটাই ষড়যন্ত্র কাজ করছে। তাই পরবর্তী লক্ষ্য কে হতে পারে, এ নিয়ে শিল্পী ও সংশ্লিষ্টরা আতঙ্কিত।
তারা ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে আবেদন করেছেন দ্রুত ব্যবস্থা নিতে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে বিদেশেও ভারতীয় তারকাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। সংগঠনের মতে, এই ঘটনা শুধুমাত্র ব্যক্তিগত হামলা নয়, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির হাজার হাজার মানুষের জীবিকা ও নিরাপত্তাকে সংকটে ফেলছে।
উল্লেখ্য, কানাডায় ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্য নিয়ে কপিল শর্মা ‘ক্যাপস ক্যাফে’ চালু করেছিলেন। কিন্তু উদ্বোধনের মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই শুরু হয় হুমকি ও গুলিবর্ষণ। বর্তমানে বিষয়টি নিয়ে বলিউডসহ গোটা ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি উদ্বিগ্ন ও নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি তুলেছে।
জনপ্রিয়
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...