Logo Logo

মুসলিমদের জন্য হাত তালি কি হারাম? কুরআন-হাদিসের আলোকে উত্তর


Splash Image

ছবি- সংগৃহীত

যিকির, সভা বা আনন্দের সময় হাত তালি দেওয়ার বিষয়ে ইসলামী শরীয়তের সর্বশেষ ফতোয়া জানুন। আল্লাহ ও রাসূল ﷺ এর নির্দেশিত বিকল্প পদ্ধতিও এখানে তুলে ধরা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


যিকিরের সময় হাত তালি দেওয়ার বিষয়ে ইসলামী শরীয়তের আলোকে নতুন এক ফতোয়া প্রকাশ করেছেন প্রখ্যাত ইসলামি গবেষক আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি। এতে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, এ ধরনের কাজ বিদআত ও নাজায়েয।

তিনি জানান, জাহেলি যুগে মুশরিকরা ইবাদতের অংশ হিসেবে হাত তালি দিত, যা কুরআনে নিন্দিত হয়েছে। কুরআনের সূরা আনফাল (আয়াত: ৩৫)-এ আল্লাহ তাআলা বলেন, “বাইতুল্লাহর নিকট তাদের সালাত শিস দেওয়া ও তালি বাজানো ছাড়া কিছুই নয়।” এ আয়াত থেকে প্রমাণিত হয় যে, ইবাদতে হাত তালি দেওয়া ইসলামী শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত নয় বরং মুশরিকদের রীতি।

শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.)-এর উদ্ধৃতি দিয়ে আলমাহদি বলেন, “যে ব্যক্তি গান ও হাত তালিকে ইবাদত হিসেবে গ্রহণ করে, সে মুশরিকদের সাদৃশ্য অবলম্বন করলো।” (মাজমুউল ফাতাওয়া ১১/৫৯৬)

তিনি আরও উল্লেখ করেন, সভা-সমাবেশ বা আনন্দের মুহূর্তে হাত তালি দেওয়াও কাফেরদের রীতি। রাসূল ﷺ এর হাদিসে আছে, “যে ব্যক্তি কোনো জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে।” (আবু দাউদ: ৪০৩১)

আবু মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ আলমাহদি মুসলমানদের সতর্ক করে বলেন, আনন্দ, বিস্ময় বা প্রশংসার মুহূর্তে হাত তালি দেওয়ার পরিবর্তে “সুবহানাল্লাহ”, “আলহামদুলিল্লাহ”, “আল্লাহু আকবার”, নিজের জন্য “মাশাআল্লাহ” এবং অন্যের জন্য “বারাকাল্লাহ ফিক” বলা সুন্নতের অন্তর্ভুক্ত।

তার মতে, ইসলামী সংস্কৃতি ও সুন্নাহ রক্ষায় কাফের-মুশরিকদের রীতি বর্জন করে কুরআন ও সহীহ হাদিসের নির্দেশিত পদ্ধতি অনুসরণ করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য অপরিহার্য।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...