বিজ্ঞাপন
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে করতোয়া ও সাঁও নদীর মিলনস্থল দু-মুখা এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত মানিক হোসেন তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের তবিবর রহমানের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার ভোরে সীমান্ত দিয়ে গরু আনতে গেলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় বাকিরা পালিয়ে গেলেও নিখোঁজ হন মানিকসহ চারজন। দুই দিন পর শনিবার সকালে স্থানীয়রা নদীতে ভাসমান অবস্থায় মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশ ও বিজিবিকে খবর দেয়। পুলিশ জানায়, মরদেহের মাথায় গুলির ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে।
এদিকে নিখোঁজদের মধ্যে আব্দুল হুদা ওরফে জমির উদ্দিনকে শনিবার সকালে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিজিবি। তবে আরও দুজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
দেবনগড় ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আইবুল ইসলাম বলেন, “ওইদিন রাতে কয়েকটি দল সীমান্তে গরু আনতে গেলে বিএসএফ গুলি করে। এরপর থেকে চারজন নিখোঁজ ছিল। আজ মানিকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া গেছে। বিএসএফই তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কেউ অপরাধ করলে প্রচলিত আইনে শাস্তি দেওয়া হোক, কিন্তু নির্বিচারে গুলি মেনে নেওয়া যায় না। যে দুজন ভারতে আটক আছেন, তাদেরও দ্রুত ফেরত দেওয়ার দাবি জানাই।”
তেঁতুলিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজির হোসেন বলেন, “আমরা ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। নিহত যুবকের মাথার পেছনে গুলি প্রবেশ করে চোখের পাশ দিয়ে বেরিয়ে গেছে। তবে নিখোঁজদের বিষয়ে এখনো কেউ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেনি।”
নীলফামারীর ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেন, “তদন্ত ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। ভারতের ভেতরে আটক একজনকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। তাকে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে এবং তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...