বিজ্ঞাপন
ইসলামে ফজরের নামাজকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে নামাজ শেষে আবার ঘুমিয়ে পড়া অনেকের অভ্যাস হলেও তা শরীর ও আত্মার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। বরং ফজরের পর জেগে থাকা এবং সময়কে ইবাদত বা কাজের প্রস্তুতিতে কাজে লাগানো আত্মিক ও শারীরিক উভয় ক্ষেত্রেই উপকার বয়ে আনে।
আত্মিক দিক থেকে ফজরের পর সময় কাটানোকে বরকতের দরজা খোলা বলে আখ্যায়িত করেছেন রাসূল (সা.)। তিনি দোয়া করেছেন—উম্মতের সকালের কাজে বরকত দানের জন্য। এ সময় কুরআন তিলাওয়াত, জিকির, দোয়া ও ইস্তেগফার করার সুযোগ থাকে, যা হৃদয়কে প্রশান্ত করে এবং আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের পথ সুগম করে। পাশাপাশি তাহাজ্জুদের আমলের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেও ফজরের পর জেগে থাকা সহায়ক।
শারীরিক দিক থেকেও এর রয়েছে বৈজ্ঞানিক প্রমাণিত উপকারিতা। ভোর থেকে সক্রিয় থাকা মানসিক স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করে, মনোযোগ ও কর্মক্ষমতা বাড়ায়। করটিসল ও মেলাটোনিন হরমোনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য ঠিক থাকে, ফলে মানসিক চাপ ও অবসাদ কমে। এ ছাড়া ভোরে হাঁটা, হালকা ব্যায়াম বা কাজের প্রস্তুতি শরীরকে চাঙা রাখে, ডায়াবেটিস ও স্থূলতা নিয়ন্ত্রণেও ভূমিকা রাখে।
ফজরের পর ঘুম নািয়ে জেগে থাকা কেবল ধর্মীয় আমলই নয়, বরং একটি স্বাস্থ্যকর জীবনব্যবস্থা। তাই আত্মিক উন্নতি ও শারীরিক সুস্থতার জন্য প্রতিটি মুসলমানের উচিত এই অভ্যাস গড়ে তোলা।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...