বিজ্ঞাপন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু)-এর সংবিধি অনুমোদিত হয়েছে। এ সংবিধি অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের জন্য আর কোনো বয়সসীমা থাকছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল নিয়মিত শিক্ষার্থী ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন এবং প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পাবেন। তবে পূর্ণকালীন চাকরিজীবী ও প্রফেশনাল কোর্সে অধ্যয়নরত এমফিল–পিএইচডি শিক্ষার্থীরা ভোটার হওয়ার অযোগ্য হিসেবে গণ্য হবেন।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে রাত ৯টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আজকের সভায় জকসুর সংবিধি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার অথবা রবিবারের মধ্যে চূড়ান্ত কাজ শেষ করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। এরপর রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারি হলে জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পূর্ণকালীন চাকরিজীবীরা ভোটার হতে পারবেন না, তবে খণ্ডকালীন চাকরিজীবীরা ভোটাধিকার পাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জকসুর সদস্য হতে পারবেন না। বিশেষ ডিগ্রি বা কোর্সে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা এবং দেশি-বিদেশি সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত শিক্ষার্থীরাও ভোটার হওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
জকসুর সংবিধিতে বলা হয়েছে, এ সংসদ ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণআন্দোলনসহ ঐতিহাসিক চেতনা ধারণ ও প্রচারে কাজ করবে। একই সঙ্গে স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও জাতীয় ঐক্যের চেতনা সুদৃঢ় করবে। শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে, নেতৃত্বের দক্ষতা তৈরি করবে এবং মুক্ত চিন্তার বিকাশ ঘটাবে।
জকসুর নির্বাহী কমিটি হবে ২১ সদস্যের। এর মধ্যে উপাচার্য পদাধিকারবলে সভাপতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদাধিকারবলে কোষাধ্যক্ষ থাকবেন। বাকি ১৯ পদে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। সংবিধিতে হল সংসদ সম্পর্কিত বিধানও যুক্ত করা হয়েছে। প্রতিটি হল সংসদের সভাপতি হবেন সংশ্লিষ্ট হলের প্রভোস্ট এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য হবেন ১৭ জন।
সিন্ডিকেটের এক সদস্য বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বার্থেই সব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আইন পাশের পরপরই রোডম্যাপ ঘোষণা করা হবে।
-প্রতিবেদক, আল-আমিন হুসাইন
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...