বিজ্ঞাপন
রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুরে চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীম মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন, সুবর্ণচর উপজেলার চর মহিউদ্দিন গ্রামের মনির হোসেন (৩৭) এবং একই গ্রামের মো. সেলিমের ছেলে মো. লিটন (২৬)।
পুলিশ জানায়, নিহত রফিকুল ইসলামের আদি নিবাস বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানা এলাকায়। তিনি বিয়ে করে প্রায় ৪০ বছর ধরে কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দ্বীন বেপারী বাড়িতে বসবাস করছিলেন। সম্প্রতি তিনি একটি নতুন ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা কিনেছিলেন।
২৫ আগস্ট সোমবার দুপুরের খাবার শেষে অটোরিকশা নিয়ে রফিকুল ইসলাম বাড়ি থেকে বের হন। রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় পরিবার তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করে, তবে ফোন বন্ধ পায়। পরের দিন মঙ্গলবার, সুবর্ণচর উপজেলার নুর ইসলাম মিয়ার বাড়ির পাশে স্থানীয়রা তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। গলায় দড়ির দাগ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার রাত ২টার দিকে কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদনগর গ্রামের কামাল হোসেনের গ্যারেজ থেকে মূলহোতা মনির হোসেনকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন, রফিকুল ইসলামের সঙ্গে পূর্ব পরিচিত ছিলেন এবং একসাথে আড্ডা দিতেন। হত্যাকাণ্ডের রাতে তারা কোমল পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে রফিকুলকে অজ্ঞান করে অটোরিকশা নিয়ে যায়। পরে মো. লিটনের সহযোগিতায় মনির হোসেন গামছা দিয়ে তার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডের পর তারা অটোরিকশা নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা এবং হত্যার কাজে ব্যবহৃত গামছা উদ্ধার করেছে।
ওসি মো. শাহীম মিয়া জানান, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছিল। যাচাই-বাছাই শেষে রিপন নামের এক তরুণ হত্যাকাণ্ডে জড়িত না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। অপর দুই আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...