মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও বঙ্গবীর জেনারেল মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানী।
বিজ্ঞাপন
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ওসমানী ছিলেন মুক্তিবাহিনী ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি। একই বছরের ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে ভাষণ দিয়ে মুক্তিবাহিনী গঠনের ঘোষণা দেন এবং এম এ জি ওসমানীকে প্রধান সেনাপতি হিসেবে নিয়োগ দেন। পরবর্তীতে ১৭ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারেও তিনি সর্বাধিনায়কের দায়িত্ব পান। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়।
১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনারা মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় সেনাদের কাছে আত্মসমর্পণ করলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। স্বাধীনতার পর ২৬ ডিসেম্বর ওসমানীকে জেনারেল পদে উন্নীত করে নবগঠিত দেশের প্রথম সেনাপ্রধান নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে ১৯৭২ সালের ১২ এপ্রিল তিনি অবসরে যান। পরে মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়ে অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগ, জাহাজ ও বিমান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠনের প্রতিবাদে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।
জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ সিলেটে নেয়া হয়েছে নানা কর্মসূচি। সকালে বঙ্গবীর ওসমানীর কবরে ফাতেহাপাঠ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও রচনা প্রতিযোগিতা।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...