Logo Logo

ডাকসু নির্বাচন স্থগিতাদেশ বিষয়ে আপিল বিভাগের শুনানি বুধবার


Splash Image

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন স্থগিত করে দেওয়া হাইকোর্টের রায় আগামীকাল বুধবার পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। একইসঙ্গে এ রায়ের বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানি হবে।


বিজ্ঞাপন


মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এবং রিটের পক্ষে ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।

এর আগে সোমবার হাইকোর্ট ডাকসু নির্বাচন আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করার রায় দিলে চেম্বার আদালত তাৎক্ষণিকভাবে সেই আদেশ স্থগিত করেন। এসময় আদালত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আপিল বিভাগে আবেদন করার নির্দেশ দেন।

সোমবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে বিচারপতি হাবিবুল গণি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ডাকসু নির্বাচন স্থগিত করেন। ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট মনোনীত জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের শুনানি শেষে এ আদেশ দেওয়া হয়।

রিটটি করেন বামজোট মনোনীত মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলম। হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়, ফরহাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ডাকসুর নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে দাখিল করতে হবে।

রিটে বলা হয়, ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট মনোনীত প্যানেলের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ ছাত্রশিবির সমর্থিত হওয়ায় তাঁর প্রার্থিতা বৈধ নয়। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া।

গত ২৬ আগস্ট ডাকসু নির্বাচনে চূড়ান্তভাবে প্রার্থী দাঁড়িয়েছেন ৪৭১ জন। প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন জমা দেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে ২৮ জন স্বেচ্ছায় প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। বাছাই প্রক্রিয়ায় বাদ পড়া ১০ জন আপিল না করায় তাঁদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে।

চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী— সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১৯ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে ১৫ জন।

সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে সদস্য পদে, যেখানে মোট ২১৭ জন প্রার্থী লড়বেন। সবমিলিয়ে ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৭১ জন প্রার্থী।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...