বিজ্ঞাপন
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মরিয়ম শিবচর চকবাজার জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা রফিকুল ইসলামের একমাত্র কন্যা। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে শিশুটির মা কানুন আক্তার তাকে কোলে নিয়ে বাসা থেকে বের হন। তবে এক ঘণ্টা পর তিনি একা ফিরে আসেন। শিশুটির খোঁজ জানতে চাইলে কানুন আক্তার সঠিক কিছু বলতে পারেননি। মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে তিনি বারবার বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন পরিবার।
পরে শিশুটির বাবা রফিকুল ইসলাম শিবচর থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। সেখানে দেখা যায়, শিশুকে কোলে নিয়ে কানুন আক্তার একাই ভ্যানে করে কোথাও যাচ্ছেন এবং কিছুক্ষণ পর একা ফিরে আসছেন।
পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে কানুন আক্তার স্বীকার করেন যে তিনি শিবচর দাদাভাই উপশহরের সিঁড়িঘাট থেকে শিশুটিকে পানিতে ফেলে দিয়েছেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ নির্দিষ্ট স্থান থেকে মরিয়মের মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়েছে পরিবার ও স্থানীয়রা। এলাকাবাসী বলছেন, “শিশুর সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় মায়ের কোলে। কিন্তু মা-ই যদি সন্তানের মৃত্যুর কারণ হন, তবে এর চেয়ে মর্মান্তিক আর কিছু হতে পারে না।”
শিবচর সার্কেল এএসপি সালাউদ্দিন কাদের জানান, “আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি শিশুটির মা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ছিলেন। তার হাতেই শিশুটি পানিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...