ফাইল ছবি।
বিজ্ঞাপন
সোমবার রাতে কয়েক দফা বমি করার পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা–নিরীক্ষা শেষে বর্তমানে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ফরিদা পারভীন দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তার ফুসফুস আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি ও থাইরয়েডের জটিলতা রয়েছে। বার্ধক্যজনিত কারণে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। বর্তমানে শ্বাসকষ্ট ও বারবার বমি করায় তার অবস্থা কিছুটা জটিল বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
এদিকে, শিল্পীর অসুস্থতার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তার চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আর্থিক সহায়তা দেওয়ার প্রস্তুতি জানিয়েছে।
ফরিদা পারভীনের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে তাকে সুস্থ করে তুলতে। পাশাপাশি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়সহ দেশের বিভিন্ন মহল থেকে যোগাযোগ করা হয়েছে, যা তাদের কাছে কৃতজ্ঞতার বিষয়।
বরেণ্য এই শিল্পীর অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সংগীতাঙ্গনসহ ভক্ত ও সহশিল্পীদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। অনেকেই তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে প্রার্থনা করছেন।
১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত দিয়ে সংগীতজীবন শুরু করেন ফরিদা পারভীন। ১৯৭৩ সালে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। পরবর্তীতে সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছে লালনসংগীতে তালিম নেন এবং হয়ে ওঠেন উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান লালনগীতি শিল্পী।
সংগীতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৮৭ সালে তিনি একুশে পদক লাভ করেন। পাশাপাশি শিশুদের লালনসংগীতের প্রতি আকৃষ্ট করতে ‘অচিন পাখি স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...